CNG Pump In Kolkata : সিএনজি সহজলভ্য করতে মন্ত্রীর দুয়ারে ক্যাব-চালকরা – kolkata cab drivers organization are going to approach transport minister for cng available


এই সময়: ‘টালিগঞ্জে গ্যাস শেষ, আর এদিকে এসে লাভ নেই’—হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজটা দেখেই গাড়ির অভিমুখ গড়িয়ার দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন অনেকে। পর পর অনেকগুলো একই প্রশ্ন এল গ্রুপটায়, ‘গড়িয়ায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে?’ কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস বা সিএনজি-তে যাঁদের গাড়ি চলে, শহরের তেমন ক্যাবচালকদের একটা বড় অংশ নিজেদের মধ্যে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে নিয়েছেন।

তাঁদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা সারাদিন চলার মতো সিএনজি-র জোগাড় রাখা। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার মধ্যে কসবা, গড়িয়া, টালিগঞ্জ, সাপুরজির মতো কয়েকটি হাতেগোনা জায়গা ছাড়া অন্য কোথাও কোনও পাম্পে সিএনজি বিক্রির ব্যবস্থা এই মুহূর্তে নেই। কী ভাবে সিএনজি জোগাড় করা যাবে, সেটাই চালকদের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কয়েকদিন আগে কসবার পাম্পে দীর্ঘ সময় ধরে সিএনজির লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও গ্যাস না পেয়ে ধৈর্য হারিয়ে ক্যাবচালকের দল রুবি মোড়ে ইএম বাইপাসের একটি লেন অবরোধ করেন। চালকদের অভিযোগ, গ্যাসের অভাবের পাশাপাশি রয়েছে পুলিশের অত্যাচারও।

তাঁদের যুক্তি, পাম্পে গ্যাস নিতে গিয়ে গাড়ির লাইন লম্বা হলেই পুলিশ এসে রাস্তা জ্যাম করার অভিযোগে জরিমানা আদায় করছে। চালকদের অভিযোগ, ‘যদি দ্রুত গ্যাস পাওয়া যেত, তাহলে এমন লাইন হতো না। গ্যাস সহজলভ্য নয়, তার জন্য তো আমরা দায়ী নই।’
সিএনজি নিয়ে এই অব্যবস্থার যাতে দ্রুত সমাধান হয় তার জন্যই আজ, সোমবার রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন চালকদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

শহরের অ্যাপ ক্যাব চালকদের সংগঠন অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘নিজেদের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনার পর আমরা ঠিক করেছি পরিবহণমন্ত্রীর কাছে চার দফা দাবি করব।’ তিনি জানান, প্রশাসনের কাছে তাঁদের অনুরোধ থাকবে, শহরে অন্তত চারটে পাম্পে যেন ২৪ ঘণ্টা সিএনজি পাওয়া যায় সেটা নিশ্চিত করা হোক।

পাশাপাশি বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি দুর্গাপুর থেকে সিএনজি আনার গাসকেট সংখ্যা যাতে বাড়ায়, তারও অনুরোধ জানানো হবে। তাহলে শহরের পাম্পগুলোয় বেশি করে গ্যাস পাওয়া যাবে। ইন্দ্রনীলের বক্তব্য, ‘আমাদের চালকরা নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছেন যাতে কোন পাম্পের কী অবস্থা সেটা জানা যায়। কিন্তু যদি একটা সিএনজি ইনফর্মেশন ব্যুরো চালু করা হয়, তাহলে একেবারে প্রশাসনিক স্তর থেকেই বোঝা যাবে কোন পাম্পের কী অবস্থা।’

চালকদের অনুযোগ, যদি সিএনজি সহজলভ্যই না হয়, তাহলে এমন গাড়ি বিক্রির উপরে জোর দিয়ে লাভ কী? আগে জ্বালানির ব্যবস্থা করে তারপর গাড়ি কেনার উপর জোর দিক প্রশাসন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *