গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রূপনারায়ণ নদের নৌকাডুবিতে ৫ জন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার পর শুক্রবার সকালে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল উদ্ধারকারী দল। শনিবার নিখোঁজ বাকি ৪ জনের কোন খোঁজ না পাওয়া গেলেও রবিবার সকালে ২ টি মৃতদেহ উদ্ধার করল উদ্ধারকারী দল। এদিন সকালে দীপাঞ্চলের বেরাল কালিতলা থেকে ঋষভ পাল (৭) নামে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে হুগলীর মাড়োখানা পানশিউলি এলাকা থেকে অচ্যুত সাহা (৫২) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে ঋষভের পোশাক দেখে তাঁর বাবা তাঁকে চিহ্নিত করেছেন।
দুটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যদিও এখনও পযন্ত নিখোঁজ দুজনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার হাওড়ার বেলগাছিয়া এবং বাগনানের মানকুর থেকে ১৮ জনের একটি দল একটি ছোট নৌকায় চেপে পশ্চিম মেদিনীপুরের দুধকুমড়ার ত্রিবেণী পার্কে পিকনিক করতে যায়।
সেখানে পিকনিক শেষে সন্ধ্যায় সকলে নৌকায় চেপে বাড়ির পথে রওনা দেয়। সেই সময় নৌকায় জল ঢুকতে শুরু করে। অভিযোগ সেই বিষয়টি মাঝি কর্ণপাত না করে নৌকা নিয়ে পাড়ে আসার সময় মাঝপথে নৌকাডুবি হয়। নৌকার ১৩ জন যাত্রীকে বাঁচানো সম্ভব হলেও ৫ জন তলিয়ে যায়। এরপরেই এনডিআরএফ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সিভিল ডিফেন্স একযোগে নদীতে তল্লাশি শুরু করে। তারপর এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলে বাকি ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার নিখোঁজদের সন্ধান করতে গিয়ে ড্রোন দিয়েও তল্লাশি চালানো হয়। শনিবার এনডিআরএফ, কলকাতার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম, সিভিল ডিফেন্স, স্টেট ইমার্জেন্সি টিমের সাতটি বোট তল্লাশির কাজ করে। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের দিক থেকেও কয়েকটি টিম কাজ করে। এর আগে নৌকাডুবির ঘটনার পর মোট ১৩ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় মাঝি মোল্লারা। পাঁচ জন নিখোঁজ ছিলেন।