Maa Flyover : মা ফ্লাইওভারের আর্চে উঠে আত্মহত্যার হুমকি যুবকের, ছুটির সকালে হুলস্থুল কাণ্ড – man climbs on the top of the maa flyover and given suicide threat


মা ফ্লাই ওভারের আর্চের ওরে উঠে পড়লেন যুবক। সেখান থেকে দিলেন আত্মহত্যার হুমকি। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছল পুলিশ ও দমকল। অনেক চেষ্টার পর নামান হল ওই যুবককে। ঘটনার জেরে ছুটির দিনে সকালে চাঞ্চল্য ছড়াল মা ফ্লাই ওভার চত্বরে।

জানা গিয়েছে, এদিন পার্ক সার্কাস এলাকায় মা ফ্লাই ওভারের আর্চের ওপরে উঠে পড়েন এক যুবক। ঠিক কোন সময় তিনি আর্চের ওপরে উঠেছেন তা নির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও, প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল। এরপর ওই যুবককে আর্চের ওপর থেকে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। তাঁর যা দাবি সেগুলি শোনা হবেও বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর পুলিশের কথায় আস্বস্ত হয়ে নীচে নেমে আসতে রাজি হন ওই যুবক। তিনি রাজি হলে, দমকলের তরখ থেকে তাঁকে নামিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।

ওই যুবককে নামিয়ে আনার পর যেটা জানান জানা যাচ্ছে, ওই যুবকের মাথায় আগে থেকেই আঘাত ছিল। তাঁকে প্রথমে কড়েয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে সাহায্য নেওয়া হবে মনোবিদদের। তবে কেন ওই যুবক এমনটা করলেন, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা তিনি পাচ্ছে না। আর সেই কারণেই তাঁর এই পদক্ষেপ। তবে সকলের নজর এড়িয়ে ওই যুব কী ভাবে মা ফ্লাইওভারের ওই জায়গায় উঠলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন সময় মা ফ্লাইওভারে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালের মে মাসে মা ফ্লাইওভার থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন এক ব্যক্তি। জানা যায়, চেতলার পেয়ারী মোহন রায় রোডের বাসিন্দা অশোক ঘোষ স্কুটি করে চিংড়িহাটার দিকে যাচ্ছিলেন। পার্ক সার্কাস হয়ে রুবি যাওয়ার পথে মা ফ্লাইওভারের উপরে স্কুটি রেখে রেলিংয়ে উঠে পড়েন তিনি। নিমেষের মধ্যোই বাইপাস লাগোয়া একটি পাঁচতারা হোটেলের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। তড়ঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তার আগে ২০২১ সালেও মা ফ্লাইওভার থেকে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *