মমতাবালা ঠাকুর
রাজ্যসভায় এবার মতুয়া সম্প্রদায়ের মমতাবালা ঠাকুরকে প্রার্থী করে পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ ছিলেন মমতাবালা। স্বামী কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের মৃত্যুর পর ২০১৫ সালে উপনির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হন মমতাবালা ঠাকুর। সেই নির্বাচনে জিতে লোকসভায় পা রাখেন মমতাবালা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফের তাঁকে বনগাঁ থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল। তবে সেবার শান্তনু ঠাকুরের কাছে পরিজিত হন মমতাবালা। ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে মমতাবালাকে পরাজিত করেন শান্তনু ঠাকুর। এবার সেই মমতাবালাকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে তৃণমূল। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, এর মধ্যে দিয়ে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুস্মিতা দেব
মমতাবালা ঠাকুরের পাশাপাশি সুস্মিতা দেবকে আবারও একবার রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। একদা অসমের কংগ্রেসের এই নেত্রী ২০২১ সালে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময় একবার সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল। মানস ভুঁইঞার ছেড়ে আসা রাজ্যসভার আসনে তাঁকে পাঠিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। তারপর এবার ফের একবার তাঁকে রাজ্য সভায় পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাগরিকা ঘোষ
এছাড়া বিখ্যাত সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে তৃণমূল। ১৯৯১ সাল থেকে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত সাগরিকা। সর্বভারতীয়স্তরে প্রথম সারির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত থেকেছেন তিনি। এছাড়া তাঁর বেশকিছু বইও পাঠকমহলে যথেষ্টই প্রশংসিত হয়েছে। সাগরিকা ঘোষের জন্ম দিল্লিতে। বাবা প্রাক্তন আইএএস অফিসার ভাস্কর ঘোষ এবং স্বামী আরও এক বিখ্যাত সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাই।
রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মহিলাদের ক্ষমতায়নের ওপরে বিশেষ জোর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে যে কোনও ভোটের প্রার্থী তালিকা নির্ধারণের ক্ষেত্রে যেমন তার ছাপ পাওয়া গিয়েছে, আবার মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পও নিয়ে এসেছেন তিনি। আর এবার রাজ্যসভার প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই দেখা গেল বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ট্যুইটে লেখেন, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চার রাজ্যসভা প্রার্থীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা বাড়িয়ে নারীশক্তিকে আবার সম্মান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’