Sandeshkhali Incident : গ্রেফতার সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার, তুমুল বিক্ষোভ সিপিএম-এর – nirapada sardar sandeshkhali ex mla arrested by police


গ্রেফতার সন্দেশকালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয় নিরাপদকে। শিবু হাজরার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার সকালেই তাঁকে আটক করে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় নিরাপদ সর্দারকে। তাঁকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সিপিএম কর্মী সমর্থকেরা।

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ১০ নাগাদ নিরাপদ সর্দারের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেই সময় সন্দেশখালি যাওয়ার উদ্দেশে তৈরি হচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ তাঁকে থানায় যাওয়ার কথা বলে। নিরাপদ জানতে চান কী কারণে তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও সেই বিষয়ে তাঁকে নির্দিষ্ট করে কোনও কারণ জানান হয়নি বলেই অভিযোগ। একটি সূত্রের খবর, শিবু হাজরার করা একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তাঁকে থানায় নিয়ে করা হয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তারপর গ্রেফতার করা হয় নিরাপদকে।

এদিকে নিরাপদকে আটক করার খবর পাওয়া মাত্র বাঁশদ্রোণী থানার সামনে ভিড় করতে থাকেন সিপিএম কর্মী সমর্থকেরা। অবিলম্বে নিরাপদকে মুক্ত দেওয়ার দাবিও জানাতে থাকেন তাঁরা। উপস্থিত হন সিপিএম-এর শীর্ষ নেতারা। দেখা যায় সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকেও। নিরাপদকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন তাঁর স্ত্রী। অন্যিদিকে এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয় সিপিএম নেতা কর্মী সমর্থকদের। ন্যাজাট ফেরি ঘাটেও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সিপিএম কর্মী সমর্থকেরা।

এর আগে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার ও বিজেপি নেতা বিকাশ সিংকে। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের বিরুদ্ধে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়া, উস্কানিমূলক কথাবার্তা, আদিবাসীর এক অংশকে ক্ষেপিয়ে তুলে আন্দোলনকে সংগঠিত করার অভিযযোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আবার বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক বিকাশ সিং-এর বিরুদ্ধে আদিবাসীদের একটা অংশকে জমায়েত করে মিছিল সংঘটিত করা, অপরাধীকে সাহায্য করা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের জন্য উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে বিকাশ সিংয়ের বিরুদ্ধে। একবার জেলও খেটেছিলেন তিনি। রাজ্য বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। কয়েক মাস আগে নতুন করে আবার বিজেপিতে জায়গা পান। বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *