তাঁকে রাজ্যসভায় ফেরত না পাঠানোর পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, তবে কি লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে সৈনিক করতে পারে দল? সাম্প্রতিক সময়ে বেশিরভাগ রাজনৈতিক ইস্যুতেই রাজ্য শাসক দলের হয়ে সুর চড়াতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। শান্তনু সেন বঙ্গ রাজনীতিতে ‘ভোকাল পলিটিশিয়ান’ হিসেবেই পরিচিত। রাজ্যসভাতেও উল্লেখযোগ্য ছাপ ছেড়েছিলেন তিনি।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ‘শান্তনুহীন’ প্রার্থী তালিকা নিয়ে এই মুহূর্তে চর্চা চলছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে। এরইমধ্যে রাজ্যসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে এই সময় ডিজিটাল-এ প্রতিক্রিয়া দিলেন শান্তনু সেন।
লোকসভার আগে কোনও নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে কিনা তা নির্দিষ্ট করবেন জননেত্রী। তিনি যে দায়িত্ব দেবেন তা পালন করব।
শান্তনু সেন
নতুন প্রার্থীদের উদ্দেশে কী বার্তা? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যাঁরা নতুন প্রার্থীপদ পেয়েছেন তাঁদের জন্য শুভেচ্ছা। তাঁরা মানুষের হয়ে ভালো কাজ করবেন সেই আশাই করছি।’ একই সঙ্গে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, হয়তো লোকসভা নির্বাচনে ভোট সৈনিক হতে পারেন শান্তনু সেন।
এই প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন এই রাজনীতিবিদ। বিষয়টি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘লোকসভার আগে কোনও নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে কিনা তা নির্দিষ্ট করবেন জননেত্রী। তিনি যে দায়িত্ব দেবেন তা পালন করব।’
পাশাপাশি নির্বাচনে লড়াই করা প্রসঙ্গেও সরাসরি কোনও উত্তর দেননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘ দলনেত্রী যা দায়িত্ব দেবেন তা পালন করব।’ উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় তিন নারীর উপর ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মমতাবালা ঠাকুরকে রাজ্যসভার প্রার্থী করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, ‘লোকসভা নির্বাচনে গেম চেঞ্জিং ফ্যাক্টর হতে পারে মতুয়া সম্প্রদায়। সেক্ষেত্রে মমতাবালা ঠাকুরের উপর ভরসা রাখা তৃণমূলের মাস্ট্রারস্ট্রোক হতে পারে।’
অন্যদিকে, সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ সর্বভারতীয় স্তরে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। তিনি বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছেন। পাশাপাশি তিনি একজন লেখিকাও।সুস্মিতা দেব এক আগেও রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের একবার তাঁকে প্রার্থী করা হল।