এই ধরনের ইট তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন সংগঠনের অনেকেই। আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি এই নিয়ে এক কর্মশালারও আয়োজন করা হয়েছে। শ্যামপুরে ইটভাটার সঙ্গে যুক্ত বহু শ্রমিক। হাওড়ায় প্রায় দুশোটি ইট ভাটা রয়েছে। তার মধ্যে দেড়শোটিই শ্যামপুরে। ইট বেশি কয়লা দিয়ে পোড়ানোর সময় পরিবেশ দূষিত হয়।
তারপর থেকেই অ্যাসোসিয়েশন চিন্তাভাবনা শুরু করে কী ভাবে পরিবেশে দূষণ মাত্রা কমানো যায়। এ জন্য অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় ও পশ্চিমবঙ্গ কমিটির নেতারা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করছেন। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মালিক ও কর্তৃপক্ষদের নিয়ে দু’দিনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ব্রিকফিড ওয়েলফেয়ার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তন্ময় শী বলেন, ‘এই ধরনের উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ইটভাটার মালিকদের সচেতন করার জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথাগত ভাবে পশ্চিমবঙ্গে যে সব ভাটাগুলিতে ইট তৈরি হয় সেখানকার ইটের ভার সামান্য বেশি। লম্বায় ২৫০ মিলিমিটার, চওড়ায় ১২৫ মিলিমিটার ও উচ্চতায় ৭৫ মিটার হয়। কাঁচামাল হিসেবে সেই ইটে মাটি বেশি লাগে। ফলে পোড়াতেও সময় লাগে। কয়লা বেশি পুড়লে দূষণও বাড়ে। অথচ দেশের অন্য রাজ্যের ইটগুলি লম্বায় ২৩০ মিলিমিটার, চওড়ায় ১১০ মিলিমিটার ও উচ্চতায় ৭০ মিলিমিটার হয়। সেক্ষেত্রে এ রাজ্যেও ইটের সাইজ অন্য রাজ্যের মতো করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এই ইটের গুণগতমানও অনেক বেশি বলে দাবি তন্ময়ের। ওজন কম হওয়ায় ব্যবহারেও সুবিধা। এই ইটের তৈরি বাড়ির ওজন কম হয়। কিন্তু বাড়ি পোক্তই হয়। এই নিয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়শেন।