দলের তরফে শেখ শাহজাহান এবং শিবু প্রসাদ হাজার নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও এবার সন্দেশখালি কাণ্ডে বেসুরো শাসকদলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। উত্তম সর্দারের মতো সন্দেশখালির আরও দুই ত্রাস শেখ শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা শিবু হাজরাকেও গ্রেফতার করা উচিত বলে মনে করেন তৃণমূলের এই তারকা বিধায়ক। তাঁর মতে, ‘ওই দু’জনও গ্রেফতার হবে। যদি পুলিশ চায়! অন্যায় করলে তাঁকে তো গ্রেফতার হতেই হবে।’ পরবর্তীতে, চিরঞ্জিত এও বলেন, ‘আমার কেন জানি না, মনে হচ্ছে সন্দেশখালি নিয়ে অনেক ছোট আন্দোলন হচ্ছে।… যতটুকু আমি দেখছি, কোনও কিছুর একটা উত্তরে এই আন্দোলন হচ্ছে, বড্ড ছোট করে। এর মধ্যে একটা অন্য গন্ধ আছে।’
এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী!পক্ষান্তরে এই ধরণের অত্যাচারী নেতাদের নিয়ে তিনি যে আলোচনা করতে চান না। তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ শাহজাহান এবং তাঁর অনুগত শিবু হাজরা ইস্যুতে দলের অবস্থানের কিছুটা বিপরীত পথেই হাঁটলেন তিনি। শনিবার রেড রোডে তৃণমূলের ধরনা মঞ্চ থেকে উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। ইতিপূর্বে দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সন্দেশখালি নিয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কমিটির সিদ্ধান্তেই উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান পার্থ ভৌমিক। তবে শেখ শাহজাহান এবং শিবপ্রসাদ হাজরাকে নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি বলে জানান হয়।
গত কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি। উত্তম সর্দারের পাশাপাশিবসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক বিকাশ সিংহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে, শিব প্রসাদ হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে। সন্দেশখালি এলাকায় জগনকে ক্ষেপিয়ে তোলা এবং আন্দোলন সংগঠিত করে অশান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতারের পরেই প্রতিরোধ শুরু করা হয়েছে সিপিএমের তরফে। আজ, সোমবার সন্দেশখালি বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে সিপিএমের তরফে।