Ilish Fish : সরস্বতী পুজোর আগেই জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, নদীর টাটকা মাছে মুখে হাসি ভোজনরসিকদের – hilsa fish in huge number catches from south 24 parganas muri ganga river


বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। আর যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠান মানেই জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। কারণ ভালোমন্দ মেনু ছাড়া কী আর উৎসব জমে ওঠে? সামনেই সরস্বতী পুজো। কোনও কোনও বাড়িতে নিরামিষ হলেও, কেউ কেউ অবশ্য আমিষ খেতেও পছন্দ করেন। আর তাই সরস্বতী পুজোর আগে সুখবর। দক্ষিণ ২৪ পরগনরা কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের জালে উঠল ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।

গভীর সমুদ্র নয়, এবার মুড়িগঙ্গা নদীর মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠল মৎসজীবীদের জালে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছোট নৌক নিয়ে মুড়িগঙ্গা নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছেন কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীরা। জানা গিয়েছে, মোহনার কাছে মিলছে ইলিশ। ঘোড়ামারা দ্বীপের কিছুটা দূরে জাল ফেললেই উঠে আসছে জলের রুপোলি শস্য। এছাড়া সাগরদ্বীপ, নিশ্চিন্তপুরের মুড়িগঙ্গা নদীর মোহনাতেও জালে জড়াচ্ছে সুস্বাদু এই মাছ।

এই বিষয়ে সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্রের মতে, এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। সাধারণত এই সময়ে নদীতে ইলিশের দেখা পাওয়া যায় না। তবে ইলিশ মাছ মাঝেমধ্যে নিজেদের চরিত্র বদল করে। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। হয়ত তেমনই আবার এখন নদী থেকে ইলিশ মিলছে।

এই বিষয়ে মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন, ইলিশ মাছ সাধারণত গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। নদীতে খুব একটা পাওয়া যায় না। কিন্তু এখন বিভিন্ন সাইজের ইলিশ উঠছে জালে। এমনকী এক কিলো ওজনেরও মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে এক একটি ছোট নৌকা গত কয়েক দিন ধরে গড়ে প্রায় ৩০ কিলোগ্রাম করে মাছ পাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। ফলে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ।

তবে মৎস্যজীবীদের একাংশ জানাচ্ছেন, নদী থেকে পাওয়া ইলিশ মাছের স্বাদ খুব ভালো হয়। এক্ষেত্রে খোলা বাজারের বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, যে মাছগুলি আসছে, সেগুলি একদম টাটকা। ফলে দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ইলিশ বিকোচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। আর ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিতে। আর এক কেজি ওজনের মাছের দাম উঠেছে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ইলিশের সেরা সময় হল বর্ষাকাল। সেই সময় আপামর মভোজনরসিক মানুষ ইলিশে কামড় দিতে প্রস্তুত থাকেন। কিন্তু অনেক সময় বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশের দেখা পাওয়া যায় যায় না। আবার কোনও সময় বাজারে পাওয়া গেলেও, তার দাম তাকে সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই জায়গা থেকে অসময়ের এই ইলিশ হাসি ফুটিয়েছে ভোজনরসিকদের মুখে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *