মমতা আরও বলেন, ‘ঘাটল মাস্টার প্ল্যানে আরও যে ১ হাজার আড়াইশো কোটি টাকা লাগবে, আমি ইতিমধ্যেই বলেছি, ওগুলো ভাগে ভাগে করতে হয়, ৩-৪ বচর সময় লাগে। কিন্তু দেব যখন আমার কাছে আবদার করেছে, দিদি ভাইকে তো ফেরাতে পারে না, তাই কেন্দ্রের জন্য আমরা আর বসে না থেকে, কবে দিল্লি দেবে, তারপরে হবে, কবে কোকিল ডাকবে, তবে বসন্তকাল আসবে, তা চিন্তা না করে, আমি নির্দেশ দিচ্ছি, এটা যাতে পরিকল্পনা তৈরি করে যাতে আমার ৩-৪ বছরের মধ্যে তৈরি করে ফেলতে পারি। দেব নাও ইউ আর দ্য চ্যাম্পিয়ন অব দ্য ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। তোমার আবদার আমি রেখেছি।’
প্রসঙ্গত, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে এদিন যে কোনও ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারেন, তার ইঙ্গিত অবশ্য আগেই মিলেছিল দেবের কথায়। সম্প্রতি দেবকে নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিকমহলে। তিনি আর ভোটে দাঁড়াবেন না বলেও গুঞ্জন চলতে থাকে। এরই মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষোক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দেব। তারপরেই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
রবিবার দেবকে বলতে শোনা যায়, ‘অভিষেক বন্দ্যাপাধ্যায় এবং দিদি, এমন একটি প্রস্তাব দেন ঘাটালের মানুষের জন্য, ঘাটালের গত ৬০ থেকে ৭০ বছরের স্বপ্ন, মনে হল, এটার জন্য আমি সারা জীবন রাজনীতি করতে চাই।’ এই বিষয়ে তাঁকে ‘প্রমিস’ করা হয়েছে বলেই জানান দেব। তারপরেই এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিকমহলে। আর এদিন বাস্তবেই দেখা গেল ঘাটল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মমতা।