জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় যে বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছিল তা কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে, এবার সেই সমস্ত ফ্যাক্টর মাথায় রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে ED। আর এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এছাড়াও রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে বাকিবুর রহমান এবং শংকর আঢ্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগে শেখ শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালিতে গিয়েছিল ED। সেখানেই তাঁকে বারংবার ডাকাডাকি করে পাত্তা না পেয়ে শেষমেশ তালা ভাঙতে যায় সিআরপিএফ। এরপরেই শাহজাহান অনুগামীদের ED আধিকারিকদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
সেই সময় আহত হয়েছিলেন তিন ED আধিকারিক। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল ছাড়েন তাঁরা। এরপরেই শেখ শাহজাহানের খোঁজ চালানো শুরু হয়। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। সন্দেশখালির ঘটনার পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। অন্তরালে থেকে একাধিকবার জামিনের জন্য আবেদন করলেও এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহানের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
শংকর আঢ্য়কে রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর আদালতে ED জানায়, ৯০টির বেশি ফরেক্সের সঙ্গে তাঁর লেনদেনের যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে। ওই সংস্থাগুলি মারফত ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে লেনদেন হয়েছে, এমনই তথ্য আদালতে জানায় ED। শুধু তাই নয়, এই বিপুল পরিমাণ অংক লেনদেনে রেশন দুর্নীতির সম্পর্ক থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ। শুধু তাই নয়, এই গোটা ঘটনায় বারংবার উঠে এসেছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামও।
এদিকে ED এবং CBI-কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করার অভিযোগ করা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। রাজ্য শাসক দলের একাংশের কথায়, ‘শুধুমাত্র ভোট অংকের কথা মাথায় রেখে এই এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ যদিও এজেন্সি নিরপেক্ষভাবে নিজেদের কাজ করছে, এমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের।