ফিরহাদ হাকিম বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম ফিট রাজনীতিক। প্রচার ময়দান থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচি, তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেন তিনি। শহর কলকাতার দায়িত্ব সামলানো থেকে শুরু করে পুর নগরোন্নয়ন দফতরে দায়িত্ব সমস্ত কিছুই একা হাতে সামাল দেন তিনি। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কী হল ফিরহাদ হাকিমের?
জানা গিয়েছে, ডিহাইড্রেশনের কারণে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিশেষ উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। যাবতীয় পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ ফিরহাদ হাকিম। তাঁর শারীরিক সমস্যার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের একেবারে শুরুর দিকে কোমরের যন্ত্রণায় ভুগেন ফিরহাদ হাকিম। সেই সময় তাঁর কোমরের যন্ত্রণা একটাই অসহনীয় হয়ে উঠেছিল যে তাঁকে তড়িঘড়ি শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কোমরের জন্য একটি বিশেষ ইনজেকশন দিতে হত। আর সেই কারণেই তাঁকে একদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল।
যদিও পরের দিনই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে কলকাতা পুরসভার মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় ফিরহাদ হাকিমকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এরপর কলকাতা পুরসভার উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি এবং কলকাতার মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
কলকাতার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ‘টক টু মেয়র’কর্মসূচি শুরু করেন ফিরহাদ হাকিম। যেখানে শহরবাসী তাঁকে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন। এই অনুষ্ঠানটি ব্যাপকভাবে সফল হয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক একাধিক কর্মসূচিতেও দেখা যায় ফিরহাদ হাকিমকে। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ফিরহাদ হাকিমকে, এমনটাই মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ভরসাযোগ্য সৈনিক ফিরহাদ হাকিম। স্বাভাবিকভাবেই তিনি যে বড় নির্বাচনী দায়িত্ব পেতে পারেন, এমনটাই আন্দাজ রাজনৈতিক মহলের।