‘অভাববোধ করব একটি লবনাক্ত চুমুর’
ভ্যালেন্টাইন্স ডে, তার উপর সরস্বতী পুজো। প্রেম-পুজো মিলে মিশে একাকার। প্ল্যান মোটামুটি সকলেরই ছকা। কিন্তু, সকলের সামনে ঠোঁটে ঠোঁট রাখলে বিপ্লব হোক বা না হোক, আইনের চোখে তা অপরাধ!
১৩ ফেব্রুয়ারি ‘কিস ডে’। চুমুর দিব্বি খেয়ে একে অপরের আরও কাছে এবং পাশে আসার প্রতিজ্ঞা করার দিন। রাত পোহালেই প্রেম দিবস। কিন্তু, প্রেমে ভেসে প্রকাশ্যে চুমু খেলেই বিপদ! পুলিশের গারদে পুরে দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রকাশ্যে ‘অশ্লীলতা’ ভারতীয় আইনে অপরাধ।
…ছয় মাসের মতো জেল হতে পারে এক্ষেত্রে
অনির্বাণ গুহঠাকুরতা
প্রকাশ্যে চুমু খেলে বিপদ? কী বলছেন আইনজীবীরা?
এই বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এদেশে অপরাধ। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ২৯০ ধারা অনুযায়ী প্রকাশ্যে অশ্লীলতা অপরাধ। যদি পুলিশের মনে করে সেক্ষেত্রে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করতে পারে।’ তবে এক্ষেত্রে তাঁর ছয় মাসের মতো জেল হতে পারে এক্ষেত্রে।
অন্যদিকে, বাম নেতা তথা আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘চুমু খাওয়াকে আলাদা করে ভারতবর্ষের আইনে কোথাও অপরাধ বলা নেই। তবে যদি কেউ পাবলিক প্লেসে অশালীন আচরণ করে তাহলে তা আইনত অপরাধ। সেক্ষেত্রে তাঁর তিন মাসের জেল হতে পারে। চুমু ভালোবাসার নিদর্শন। আমার মনে হয় না চুমুর সঙ্গে অশ্লীলতার কোনও সম্পর্ক রয়েছে। তা পাবলিক প্লেসেই বা অন্য কোথাও।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাবলিক প্লেসে যদি ঘুষ খাওয়াটা অশালীন আচরণ না হয় সেক্ষেত্রে চুমু খাওয়াটা কেন হবে? আসলে অনেক সময় কোনটা শ্লীল এবং কোনটা অশ্লীল তা নির্বাচন করতে পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হয়। নীতিপুলিশির জন্য অনেককে হেনস্থা করা হয়। আমাদের রাজ্যেও ধীরে ধীরে তা শুরু হয়েছে। তবে চুমুর সঙ্গে অশ্লীলতার কোনও সম্পর্ক রয়েছে বলে আমি মনে করি না।’
সবমিলিয়ে প্রকাশ্যে চুমুর বিপ্লব যে বিপদ ডেকে আনতে পারে এবং শ্রীঘরে পর্যন্ত যেতে হতে পারে, এই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মোটের উপর প্রেম এবং ভালোবাসা খোলা আকাশের নীচে আলো বাতাস পাক, কিন্তু চুমুু নিয়ে সতর্কতা প্রয়োজন!
যদিও চুমু যে অশ্লীল, তা মানতে নারাজ জেন ওয়াই। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বর্ষা দত্ত বলেন, ‘চুমু যে অশালীনতা তা কে বলল! তাহলে যে সমস্ত ছবিগুলিতে চুমু থাকে সেগুলি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায় কী ভাবে?’