তবে কর মেটানোর ক্ষেত্রে শহরের অভিজাত ক্লাব, রেস্তরাঁ, হোটেলগুলির একটা অনীহা রয়েছে বলে মনে করেন পুর-আধিকারিকরা। তাদের থেকে বকেয়া কর আদায় করতে পারলে পুরসভার রাজস্ব আরও কয়েক গুণ বাড়বে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই বাজেট অধিবেশন হওয়ার কথা। সেখানে এই সব ক্ষেত্রে বকেয়া কর আদায়ের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
কলকাতা পুরসভার রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি সংক্রান্ত এক পরামর্শদাতা জানান, শহরের অভিজাত ক্লাব, রেস্তরাঁ, হোটেলের যে পরিমাণ কর বকেয়া আছে, তা নিতান্তই কম নয়। তবে এই অঙ্ক এখনই প্রকাশ্যে আনা সম্ভব নয়।
তাঁর বক্তব্য, ‘শহরের নিম্ন মধ্যবিত্ত বাসিন্দারাও পুরসভার কর বকেয়া রাখতে চান না। কষ্ট করে সংসার চালিয়েও তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে কর মিটিয়ে দিচ্ছেন। তা হলে যাঁরা শহরকে ব্যবহার করে ব্যবসা করছেন তাঁরা কেন নির্দিষ্ট সময়ে তাঁদের বকেয়া কর মেটাবেন না?’
রাজস্ব বিভাগের একাধিক আধিকারিকও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। পুর-সূত্রের খবর, আপাতত শহরের যে সমস্ত অভিজাত ক্লাব, রেস্তরাঁ এবং হোটেলের মোটা অঙ্কের কর বকেয়া রয়েছে, তার একটি তালিকা তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।