Sandeshkhali Incident Update : ‘মহিলাদের মারধর করা হতো’, সন্দেশখালি ঘুরে দাবি পুলিশের বিশেষ টিমের – sandeshkhali women torture allegation noted by special police team on tuesday


‘গ্রামের মহিলাদের ভয় দেখানো হতো…মহিলাদের মারধর করা হতো।’ সন্দেশখালির গ্রাম ঘুরে বললেন মহিলা ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র। এদিন সন্দেশখালিতে পুলিশের তৈরি করা স্পেশাল ১০ সদস্যের টিম যায় সন্দেশখালি। গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য দুই মহিলা অফিসার সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের কাছে নিজেদের অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন মহিলারা।

ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র ও ডিআইজি পদমর্যাদার আইপিএস আধিকারিক দেবস্মিতা দাস এদিন গ্রামে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অত্যাচারের কাহিনী শোনেন তাঁরা। গ্রাম ছেড়ে বেরোনোর পর ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র বলেন, ‘আমরা ভয়ে কাটানোর জন্য এসেছিলাম, প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সবাই মহিলা টিম ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। যেটা করার দরকার সেটা করা হবে।’

মহিলারা তাঁদের কাছে কী ধরনের অভিযোগ করেছেন? অত্যাচারের বিষয়ে তাঁদের কী জানিয়েছেন? কোনও অভিযোগ কী গ্রহণ করা হয়েছে? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘৪টে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওনাদের যেটা মনে হয়েছে ওনারা সেটাই বলেছেন। শারীরিক ভাবে নির্যাতনের কথা বলতে কেউ কেউ বলেন মারধর করা হয়েছে। কেউ বলেন নিয়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা বা নির্যাতন করা হবে বলে ভয়ে দেখান হয়েছে। ওঁরা বলেছেন ওনাদের ভয় দেখানো হত।’

‘সন্দেশখালির মা-বোনদের বাঁচান’, বসিরহাট আদালতে যাওয়ার আগে বললেন বিকাশ সিং

পুলিশের একটি টিমের পাশাপাশি এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল যায় সন্দেশখালিতে। এদিন প্রথম সন্দেশখালি ১ ব্লকের কালীনগর এলাকায় যান তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। দলে ছিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। কালীনগরে একটি বৈঠক করেন তাঁরা। এরপরেই বেরিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘মা, বোনেরাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতীক। বাংলা তো উত্তরপ্রদেশ নয়। যেখানে ধর্ষণ করে নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এটা বাংলা, এখানে মায়েদের সম্মান নষ্ট হয় না।’ বলে জানান পার্থ। এরপরেই তিনি জানান, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সন্দেশখালিতে একটি সমাবেশ করা হবে।

Sandeshkhali Incident : সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিল হাইকোর্টের, সুকান্তের নেতৃত্বে SP অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্র এলাকা
যদিও, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে সন্দেশখালির ১৪৪ ধারা বাতিল করে দেওয়া হয়। এমনকি, সন্দেশখালির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে হস্তক্ষেপ করে আদালত। আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে ‘আদালত বান্ধব’ হিসেবে আদালতের নির্দেশে নিযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্দেশখালি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া উত্তম সর্দার এবং বিকাশ সিংকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই নাটকীয় ভাবে রাতেই ফের তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে। সন্দেশখালিকাণ্ডে পৃথক মামলায় ধৃত বিজেপির বিকাশ সিংহ এবং তৃণমূল থেকে বহিষ্কার হওয়া নেতা উত্তম সর্দার বুধবার আর জামিন পাননি। তাদের জামিন নাকচ করে দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *