সম্প্রতি দিঘা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পরপর বেশ কয়েকটি ঘটনা বারেবারে বিড়াম্বনায় ফেলেছে পুলিশ প্রশাসনকে। এবার তাই শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ নির্দেশিকা। ইতিমধ্যেই দিঘা শহরে মাইকিংয়ের মধ্যে দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটক এবং ব্যবসায়ী প্রত্যেকেই সতর্ক করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের রাত্রি এগারোটা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যটকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গভীর রাতে সমুদ্র সৈকতে বা আশেপাশে কেউ যেন ঘোরাফেরা না করেন। বরং পর্যটকদের হোটেলে নিরাপদে থাকার কথা বলা হয়েছে। আর এই আইন ভাঙলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটক, প্রত্যেককেই।
গত কয়েকদিন আগেই সৈকত শহরে মহিলা পর্যটককে নির্যাতনের ঘটনার পরেই প্রশাসনের এমন কড়াকড়ি বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছ। এই বিষয়ে দিঘা থানার ওসি অভিজিৎ পাত্র জানান, দিঘা শহরে শান্তি বজায় রাখতে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ছে। মাইকিং করে স্থানীয় মানুষ থেকে পর্যটক, সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা নির্দেশিকা অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বন্ধুর সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। বাইকে বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে কয়েকজন যুবক তাঁদের হোটেল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে। অভিযোগ, এরপর একটি ফাঁকা জায়গায় জোর করে আটকে রাখা হয় ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধুকে। তারপর তাঁদের টেনে হিঁচড়ে আরও নির্জন একটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই তরুণীর বন্ধুকে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। পাশাপাশি তরুণীকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর এই থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন ওই তরুণী। যার প্রেক্ষিতে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। সেই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।