Eastern Railway zone: রেল ট্র্যাকে কাটা পড়ার সংখ্যা কমছে না চেষ্টা করেও – eastern railway zone authorities are worried about rail accident


এই সময়: ২০২২-২৩-এ সংখ্যাটা ছিল ১৭৯৪। ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ২০২৪-র জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ পরবর্তী ৯ মাসে পূর্ব রেলের চারটি ডিভিশন মিলিয়ে রেলের ট্র্যাকে কাটা পড়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮৫-তে। এমন ঘটনা আটকাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢালাও প্রচার, বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে সচেতনতা বৃদ্ধির সব রকম চেষ্টাই যে ব্যর্থ হচ্ছে তা একরকম মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন সংস্থার কর্তারা। বিপজ্জনক এই পরিসংখ্যানে উদ্বেগ বাড়ছে পূর্ব রেলের আধিকারিকদের।

সেলফি তোলার জন্য সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড পাওয়ার সুবিধাই হোক বা গন্তব্যে যাওয়ার জন্য শর্টকাট, রেলের ট্র্যাক ধরে অসাবধানী চলাচল কোনও ভাবেই থামাতে পারছেন না পূর্ব রেলের কর্তারা। আর সেই কারণে রেলের ট্র্যাকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী। শুধু অসাবধানে ট্র্যাক পার হতে গিয়েই যে মানুষ দুর্ঘটনায় পড়ছেন তা নয়। সংস্থার কর্মীরা জানাচ্ছেন, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের তলা দিয়ে নিশ্চিন্তে গলে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন অনেকে, সেই সময়ে সিগন্যাল পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন চলতে শুরু করে দেওয়ায় মৃত্যু হয়েছে যাত্রীর — এমন নজিরও বিরল নয় পূর্ব রেলে।

এছাড়াও রয়েছে নিরিবিলিতে গল্প করার সুবিধার জন্য দুই স্টেশনের মাঝের কোনও জায়গায় ট্র্যাকের মধ্যে অথবা ট্র্যাকের পাশে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আড্ডার আসর জমানোর মতো ঘটনাও। গল্পে মত্ত বন্ধুদের খেয়ালই থাকে না ট্রেন এসে পড়ার বিষয়টি। কিছুক্ষণ পরে টিভির পর্দায় ব্রেকিং নিউজ় অথবা পরদিন খবরের কাগজ পড়ে গোটা রাজ্য জানতে পারে একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তির কাটাপড়ার কথা।

রেলের ট্র্যাকে কাটা পড়ার ঘটনা না কমা প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলছেন, ‘রেল লাইন ধরে চলার সময়ে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকা অথবা রেল গেট বন্ধ দেখেও কোনও ক্রমে গলে গিয়ে ট্র্যাক পার হওয়ার চেষ্টা কিংবা স্টেশনের ফুট ওভারব্রিজ অগ্রাহ্য করে রেললাইন ধরে পারাপার করা — প্রধানত এই জাতীয় হঠকারী পদক্ষেপই এমন দুর্ঘটনা ঘটায়। আমাদের আবেদন, এমন ভাবে ঝুঁকি নেবেন না। যথাযথ নিয়ম মেনে নিরাপদে যাতায়াত করুন। রেল লাইন ধরে চলা বা লাইন পার করা রেলের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *