কেরল থেকে ফিরে সন্দেশখালিতে গিয়েছিলে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে গোটা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে রাজ্যপাল। কথা বলেন সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে। তাঁকে নিজেদের পরিস্থিতির কথা জানান সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁদের পাশে থাকার ও প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন সি ভি আনন্দ বোস। সেই রাজ্যপাল বলেছিলেন, সন্দেশখালির মহিলারা তাঁর বোন। তাঁদের সম্মান রক্ষার্থে যা করার, তিনি করবেন। যে ছবি তিনি দেখেছেন, তাঁকে মর্মাহত করেছে। এমনকী সন্দেশখালিতে তিনি যা দেখেছেন বা শুনেছেন, তা আগে কখনও দেখেননি বা শোনেননি বলেও জানান বোস।সন্দেশখালির সফর সেরে দিল্লি যান রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। আর সেখানেই এবার তাঁর কনভয়ে ঢুকে গেল অন্য গাড়ি।
সন্দেশখালি যাওয়ার পথেও দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা যায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে। সেইদিন মিনাখাঁ-মালঞ্চ হয়ে সন্দেশখালি যাওয়ার সময় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। রাস্তা পাশে হাতে প্ল্যাকার্ড – পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। প্ল্যাকার্ডগুলির মধ্যে কোনও কোনওটিতে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবি তোলা হয়। পথে একাধিক জায়গায় সেই চিত্র দেখা যায়। মিনাখাঁয় বিক্ষোভের জেরে কিছুক্ষণের জন্য থেমে যায় রাজ্যপালের গাড়িও। বোস সেই নিজে বিক্ষোভের কারণ জানতে চান।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে। গতমাসে বর্ধমানে সভা সেরে ফেরার পথে ঘটে যায় এই বিপত্তি। যার জেরে জোরে ব্রেক কষতে হয় মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির চালককে। কিছু সময়ের জন্য থেমেও যায় মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি। এরপর কপালে রুমাল চেপে ধরে বসে থাকতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই রুমাল চাপা অবস্থাতেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি।পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, একটি গাড়ি প্রায় ২০০ কিমি বেগে তাঁর কনভয়ে ঢুকে পড়েছিল, যে কারণে তাঁর চালক ব্রেক কষতে বাধ্য হন।