দিল্লি থেকে ফিরে দমদম বিমানবন্দরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘এই রিপোর্ট কার্ডটি বাংলার জনগণের রিপোর্ট কার্ড। এর উপর ভিত্তি করে আমি আমার নির্দেশ সরকারকে দেব।’ তাঁর কথায়, আমার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে বাংলার মানুষের কাছে রিপোর্ট দেওয়া, তারপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রিপোর্ট দেওয়া এবং তারপর কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দেওয়া। আমায় কিছুটা সময় দিন। এটা সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর জন্য। সংবিধানের ১৭৫(২) ধারা অনুযায়ী সরকারের কাছে পৌঁছে যাবে। তারপরে এই বিষয়ে আমি বলব।’ তবে রিপোর্ট কার্ড অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান সহ অন্যান্য অভিযুক্ত নেতাদের নাম আছে বলেই জানা যাচ্ছে। তাদের গ্রেফতারের ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়েছে।
সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আদালত নির্দেশিকা দিলেও ফের একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের ঢুকতে একাধিক জায়গায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ‘বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি তৈরি হচ্ছে। যারা যাদের থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার আশা করা হয় তাদেরকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে মানুষ তার জোর অন্য উপায় দেখাবে।’
এর আগে সোমবার সন্দেশখালি ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। সেখানেই আন্দোলনরত মহিলাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। তাঁদের অভিযোগের কথা শোনেন। মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে করজোরে আবেদন জানান মহিলারা। সন্দেশখালি পরিদর্শনের পরেই দিল্লি উড়ে যান রাজ্যপাল। বুধবার রাতেই তিনি দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেছেন।
রাজ্যপাল সরকারকে এই ঘটনায় যে অভিযুক্তদের নাম উঠে আসছে, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপশি, একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স বা সিট গঠনের ব্যাপারেও রাজ্যকে আর্জি জানিয়েছেন। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। এমনকি, সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্য সরকারের তরফে যাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়, সে ব্যাপারেও আবেদন জানিয়েছেন সরকারের কাছে।