Sukanta Majumdar News : ‘বমি বমি ভাব, স্যালাইন ছাড়া কিছুই নিতে পারছেন না’, সুকান্তকে দেখে মন্তব্য শুভেন্দুর – suvendu adhikari opposition leader says sukanta majumdar is not able to eat anything


সন্দেশখালিতে যাওয়ার সময় টাকিতে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলার পর আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্য BJP সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে তড়িঘড়ি বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিকেল নাগাদ তাঁকে শহর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্ত মজুমদারকে দেখার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই BJP নেতার হেলথ আপডেট দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

কেমন আছেন সুকান্ত মজুমদার?

জানা গিয়েছে, তিনি ICU-তে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। শুভেন্দু বলেন, ‘ওর পাঁজরে কোমরে ব্যথা। বমি বমি ভাব রয়েছে। স্যালাইন ছাড়া কিছুই নিতে পারছে না। ও আমাদের ইয়াং লিডার। ওঁর রেস্ট দরকার। চিকিৎসা ভালো হচ্ছে।’

পাশাপাশি বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার আগে যাতে কেউ দেখা করতে না আসে সেই জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের আপাতত বিশ্রামের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

বমি বমি ভাব রয়েছে। স্যালাইন ছাড়া কিছুই নিতে পারছে না

শুভেন্দু অধিকারী

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনায় পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের মুক্তির দাবিতে রাতভর ধরনা দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। রাতে তাঁকে আটক করে পুলিশ। যদিও কিছুক্ষণ পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এরপর বুধবার টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে সুকান্ত মজুমদারের। এদিন রাজ্য BJP সভাপতি জানান, তিনি সন্দেশখালি যেতে চান। যদিও পুলিশ জানায়, ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে তা সম্ভব নয়। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত কথাকাটাকাটি হয় তাঁর। এরপর পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন সুকান্ত। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বসিরহাটের এসপি অফিস অভিযানের পর একটি হোটেলে ছিলেন সুকান্ত। বুধবার সুকান্ত মজুমদারের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে নতুন করে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর জানা গিয়েছিল, হোটেলেই সরস্বতীপুজো করতে চলেছেন তিনি। যদিও পরবর্তীতে জানা যায়, সরস্বতী প্রতিমা নিয়ে সেখানে যাবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। যদি পুলিশ তাঁদের মাঝপথে আটকে দেয় সেক্ষেত্রে যেখানে আটকানো হবে সেখানেই পুজো করা হবে। যদিও পরে সেই পরিকল্পনা বদলে যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *