রেল জানাচ্ছে, পূর্ব রেলের আওতায় থাকা ২৮টি স্টেশনকে এই স্কিমের অধীনে এনে তাদের ঢালাও পরিবর্তন করা হবে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলছেন, ‘পূর্ব রেলে মোট চারটি ডিভিশন রয়েছে। স্টেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য শিয়ালদহে ১২১.৪৭ কোটি টাকা, হাওড়া ডিভিশনের জন্য ৭৮.১৪ কোটি, আসানসোলের জন্য ৯৩.৭১ কোটি এবং মালদার জন্য ১০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩১টি রেল ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস তৈরির জন্য ১২৩.৫২ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে।’
অন্য দিকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্যকুমার চৌধুরি বলছেন, ‘আমাদের আওতায় মোট ২২টা স্টেশনকে ঢেলে সাজার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এই স্টেশনগুলোর উন্নয়নে ৫৯৭.১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪১টি রেল ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস তৈরির জন্য ৪৯২.০৫ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনায় স্টেশনগুলোকে সিটি সেন্টারের মতো করে গড়ে তোলা হবে। এখানে রুফ প্লাজ়া, শপিং জ়োন, ফুড কোর্ট এবং ছোটদের খেলার জায়গার মতো নানা ধরনের জিনিস গড়ে তোলা হবে। মূল উদ্দেশ্য, স্টেশনগুলোকে স্থানীয় এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।
সোমবার গোটা দেশে যে ৫৫৪টি স্টেশনের উন্নয়নের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী, তার মধ্যে বাংলার যে স্টেশনগুলো রয়েছে সেগুলো হলো — ব্যান্ডেল জংশন, বাঁকুড়া, উলুবেড়িয়া, পাঁশকুড়া জংশন, দিঘা, ঝালদা, বার্নপুর, খড়্গপুর জংশন, বাগনান, বারাসত, চন্দননগর, সুইসা, খাগড়াঘাট রোড, সাঁইথিয়া জংশন, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, শিলিগুড়ি, আন্দুল, মধ্যমগ্রাম, দমদম, জয়চণ্ডী পাহাড়, আদ্রা, জঙ্গিপুর রোড, বালুরঘাট, গেদে, হরিশ্চন্দ্রপুর, কুমেদপুর, মেচেদা, বালি, হিজলি, ধুলিয়ান গঙ্গা, ডানকুনি, কল্যাণী, তমলুক, বনগাঁ জংশন, বেলদা, পানাগড়, তুলিন, নৈহাটি জংশন, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া জংশন, হলদিয়া, ভালুকা রোড, মালদা কোর্ট ও সোনারপুর জংশন।
