প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গ্রামীণ অঞ্চলের পাশাপাশি শহর অঞ্চলেও বাড়ি তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে থাকে। গ্রামীণ এলাকায় অর্থ বরাদ্দের সঙ্গে শহর এলাকার অর্থ বরাদ্দের ধরন কিছুটা আলাদা। গ্রামীণ এলাকায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের আলাদা করে কোনও টাকা দিতে হয় না। তবে শহর এলাকায় আবাসের জন্য বরাদ্দ হয় মোট ৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। যার মধ্যে সুবিধাভোগী উপভোক্তাকে নিজেকে দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা।
মেদিনীপুর পুরসভা এলাকায় মোট ২২৪৮টি বাড়ি তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হওয়ার কথা থাকলেও শেষমেষ , ১,৯৯৪টি বাড়ির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। মোট টাকার পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রথম কিস্তির টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উপভোক্তাদের মোট ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। ওই টাকায় যেটুকু কাজ হওয়া সম্ভব সেটুকু কাজ গিয়ে বাকি বাড়ি নির্মাণের কাজ মাঝপথে আটকে ছিল। অনেকেই নিজের অর্ধেক নির্মিত বাড়ির কাছে কোনও কাঁচা ঘরে বা ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তবে নতুন করে টাকা আসায় ফের আশায় বুক বাঁধছেন অনেকেই।
তবে, উপভোক্তাদের একটি অংশকে বাকি টাকা দেওয়া বলেও বাকি সুবিধাভোগীদের কবে টাকা দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে পুর প্রধান সৌমেন খান একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে টাকা আসতে শুরু করেছে। বাকি টাকা এলে আবার নতুন উপভোক্তাদের সেই টাকা দেওয়া হবে।
