Hooghly News : ডাল-ভাতে রুচি নেই! ‘বিরিয়ানি চাই’, আবদার কোন্নগর শিশুহত্যায় ধৃত শান্তা-পারভিনের – hooghly konnagar child death case accused mother demand biryani in jail


পুলিশি হেফাজতে সাধারণ খাবারে তাদের মুখে রুচি নেই। তাদের বিরিয়ানি – চাইনিজ প্রয়োজন। আবদার কোন্নগর শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত তাঁর মা ও বান্ধবীর। এমনকি, মুখরোচক খাবার না দেওয়ার কারণে তাঁরা তদন্তে অসিযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। পুলিশের কাছে মুখরোচক খাবারের আর্জি জানাচ্ছে শান্তা শর্মা ও তার বান্ধবী ইফফাত পারভিন।পুলিশ সূত্রে খবর, বিরিয়ানি-চাইনিজ খাবার চাইছেন দুই অভিযু্ক্ত। সাধারণ ডাল-ভাত, রুটি পছন্দ নয়। পছন্দের খাবার না পেয়ে তদন্তে মুখ বন্ধ করেছে দু’জনেই। তাদের আবদারে অতিষ্ট তদন্তকারী আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, শিশু খুনে অভিযুক্ত শান্তা ও ইফফাত গ্রেফতার হন গত ২০ ফেব্রুয়ারি। নয় দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন দু’জনই। পুলিশ বেশ কিছু সূত্র পেয়েছে। বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পেয়েছে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডে। এখন দুয়ে দুয়ে চার মেলাতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

জানা গিয়েছে, শান্তা এবং পারভিন আলাদা জমি কিনছিলেন। কোন্নগর কানাইপুরে গঙ্গা নগরে জমি কিনেছিলেন শান্তা শর্মা। সেই জমি মধ্যস্থতা করে দেন কানাইপুরের এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, ৭ বছর আগে তার মাধ্যমেই ৪ লাখ টাকার বিনিময় ২ কাঠা জমি কেনেন শান্তা শর্মা। তার নামে মিউটেশনও করা হয় সেই জমি। কথা ছিল সেখানে বাড়ি করার। মাঝে মধ্যে সেই জমি দেখতে আসতেন শান্তা। তিনি জানান, একবার শান্তার স্বামী পঙ্কজ শর্মাকে জমি দেখানোর জন্য নিয়ে আসেন।

কানাইপুরে হরিসভার বাসিন্দা, সঞ্জয় কুমার সাঁতরা জানান, শান্তা শর্মা বাড়ি করার জন্য বছর সাতেক আগে আমার মাধ্যমে দু কাটা জমি ৪ লাখ টাকা দিয়ে কেনেন। প্রথমে আমাকে দু লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তারপরে মাস তিনেকের মধ্যে আরো দু লাখ টাকা দিয়ে জমিটা নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নেন। কথা ছিল সেখানে বাড়ি করার কিন্তু এখনও জমিটা সেই অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। বছর দুই তিনেক আগে শেষবার এসেছেন জমিটা দেখতে তারপর থেকে আর আসেননি।

West Bengal Police : ফাঁড়িতে মহিলাকে বেদম মার, সাসপেন্ড এসআই
কোন্নগর কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আচ্ছা লাল যাদব বলেন, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী পারভিনের একার পক্ষে জায়গা নেওয়া সম্ভব নয়। তাই পারভিনের এর মধ্যে যোগসাজোশ থাকতে পারে। দুজন যৌথভাবেই জায়গাটা নিতেও পারে। যাতে তারা নিজেরা সংসার করতে পারে। সংবিধান প্রতিটা মানুষকে একটা অধিকার দিয়েছে। তারা অসহযোগিতা করবে। কারণ তারা চাইছে মিথ্যা বলে যদি আমরা আইন আদালত থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। পুলিশ সূত্রে খবর, শান্তার বাবা রেলে চাকরি করতেন।তারা তিন বোন।বাবা তিন বোনকে কিছু টাকা দিয়েছিলেন। সম্ভবত সেই টাকা দিয়েই জমি কেনেন শান্তা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *