এই সময়, আসানসোল: ২০১৯-এর গত লোকসভা নির্বাচনে দেশের ৩০ কোটি ভোটার ভোটই দেননি। সে সময় দেশে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯১ কোটি। এই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে যাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটার ভোট দেন সেজন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন অভূতপূর্ব উদ্যোগ গ্রহণ করল।এই প্রথম ভোটারদের সচেতন করা, তাঁদের দায়িত্ব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল করা এবং ভোটদানের পদ্ধতি ও পদক্ষেপ বিষয়ে সবিস্তার জানিয়ে উদ্বুদ্ধ করার জন্য দেশের সর্ববৃহৎ দু’টি সংস্থার সঙ্গে মউ চুক্তি স্বাক্ষর করল নির্বাচন কমিশন। সংস্থা দু’টি হলো ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন ও ডিপার্টমেন্ট অফ পোস্ট।
দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা ১ লক্ষ ৫৬ হাজার পোস্ট অফিস, দু’লক্ষের বেশি এটিএম এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ১ লক্ষ ৬০ হাজার শাখার মাধ্যমে ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ দেওয়ার বিশেষ পদক্ষেপ এই চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। সোমবার দিল্লির নির্বাচন সদনে এই মউ স্বাক্ষরের সময়ে উপস্থিত ছিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক রাজীব কুমার, নির্বাচন আধিকারিক অরুণ গোয়েল, ডিপার্টমেন্ট অফ পোস্টের সচিব বিনীত পান্ডে, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের চিফ এগজিকিউটিভ সুনীল মেহতা-সহ অন্যান্যরা।
দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা ১ লক্ষ ৫৬ হাজার পোস্ট অফিস, দু’লক্ষের বেশি এটিএম এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ১ লক্ষ ৬০ হাজার শাখার মাধ্যমে ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ দেওয়ার বিশেষ পদক্ষেপ এই চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। সোমবার দিল্লির নির্বাচন সদনে এই মউ স্বাক্ষরের সময়ে উপস্থিত ছিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক রাজীব কুমার, নির্বাচন আধিকারিক অরুণ গোয়েল, ডিপার্টমেন্ট অফ পোস্টের সচিব বিনীত পান্ডে, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের চিফ এগজিকিউটিভ সুনীল মেহতা-সহ অন্যান্যরা।
এর ফলে ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিস তাদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভোটারদের সচেতন করতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ওই সব সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এবং সংস্থাগুলির অফিস কার্যালয়ে পোস্টার, ফ্লেক্স, হোর্ডিং ইত্যাদি প্রদর্শন করে সকলের ভোটদানের বিষয়টিকে নিশ্চিত করবে। ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলেও হবে নির্বাচন কমিশনের এই প্রচার।
ফেডারেশন অফ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাস বলেন, ‘এই চুক্তির মধ্যে দিয়ে আর একবার প্রমাণিত হলো রাষ্ট্রীয় ডাকঘর এবং ব্যাঙ্কগুলির গুরুত্ব আমজনতার কাছে কত বেশি।’ আসানসোল ডিভিশনের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পোস্ট অফিস সুব্রত সামন্ত বলেন, ‘এতে গণতন্ত্র আরও অনেক বেশি সুদৃঢ় হবে।’