যদিও ইডি আধিকারিকরা কোন বিষয়ে কথা বলতে এসেছিলেন, বা তাঁর বাবার সঙ্গে কোন কোন বিষয়ে কথা হয়েছে, সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেই সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন মুকুল রায়ের পুত্র। একইসঙ্গে ইডি আধিকারিকরা আবারও আসবেন কি না, সেই বিষয়েও তাঁর কিছু জানা নেই বলে দাবি করেন শুভ্রাংশু রায়।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৫ তারিখ দিল্লিতে মুকুল রায়কে ইডির তলবের খবর সামনে আসে। ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে ডেকে পাঠানো হয় মুকুলকে। যদিও মুকুল রায়ের বর্তমান যা শারীরিক পরিস্থিতি তাতে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলেই সেই সময় জানিয়ে ছিল তাঁর পরিবার। সেই সময়ও মুকুল রায়ের ছেলে দাবি করেছিলেন কোন বিষয়ে তাঁর বাবাকে ডাকা হয়েছে তা উল্লেখ করা ছিল না নোটিশে। শুধু বলেছে ১৬ তারিখের মধ্যে দেখা করতে বলা হয়েছিল। যদিও বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি মুকুল রায়ের পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছিলেন শুভ্রাংশু রায়। শুভ্রাংশু আরও জানান, বর্তমানে মুকুল রায় কাউকে চিনতে পারেন না এখন, হাঁটচলাও পারে না। দু’তলা থেকে একতলায় নামতে পারেন না, বা নামলেও কিছুক্ষণের মধ্যে শরীরে অস্বস্তি বোধ করেন।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা বিধানসভা ভোটের কিছু পরেই ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসেন মুকুল রায়। যদিও শারীরিক কারণে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। আর এবার সেই শারীরিক অসুস্থতার কারণেই দিল্লিতে ইডির তলবে পৌঁছতে পারলেন না তিনি।