তাঁদের সংযোজন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আমরা এতদিন চুপ ছিলাম। এবার বড় পদক্ষেপ করব। আমরা জীবন শেষ করে দেবো।’ যদিও ব্রাত্য এদিন বলেন, ‘এটা আন্দোলনের কোনও পন্থা হতে পারে না। রাজ্য সরকার দেড় বছর ধরে তাঁদের কথা শুনে এসেছে। আমাদের আশা, আদালতের অনুমতিতে এই জট ছাড়ার মুখে। এই সমস্যা সমাধানে সরকারের সদিচ্ছা আছে। সহানুভূতির সঙ্গে সমাধানের পথ বিবেচনা করছি। আন্দোলনকারীরা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। তারপরেও তাঁরা কী করবেন, তাঁদের ব্যাপার।’
অন্যদিকে, আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চের তরফে এদিন শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল হয়। চাকরিপ্রার্থীরা মৌলালি, এসএন ব্যানার্জী রোড এবং ধর্মতলা ডোরিনা ক্রসিংয়ে দফায় দফায় রাস্তায় বসে ও শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রথম দফায় কাউন্সেলিং হওয়া প্রার্থীদের অবিলম্বে জয়েনিং, অন্যদের ধারাবাহিক কাউন্সেলিং ও জয়েনিংয়ের দাবিতেই এদিনের আন্দোলন।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আগামিকাল, বুধবার বেলা দু’টোয় জয়েনিংয়ের বিষয়ে শুনানি রয়েছে। মেধা তালিকায় ১৩,৩৩৪ জন প্রার্থী এমপ্যানেল্ড এবং ওয়েট লিস্টেড। ইতিমধ্যে গত ৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়েছে। যদিও কমিশনের ঘোষিত শূন্যপদ রয়েছে ১৪,৩৩৯টি।
যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের দাবিতে ধর্মতলার শহিদ মিনারে মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের অবস্থান ধর্না মঞ্চ এদিন ৪৪৫ দিনে পড়ল। শিক্ষামন্ত্রী এ ব্যাপারে বলেন, ‘আন্দোলনের সঙ্গে চাকরির কোনও সম্পর্ক নেই। যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই চাকরি দেবে। অনেক চাকরি ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। নিয়োগ নিয়ে একটা গন্ডগোল হয়েছে। সেটা আমরা অস্বীকার করিনি। কোনওদিন করব না। জট খোলার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’