Sugar Test,সুগার-প্রেসার থাকলেও দুশ্চিন্তা নেই, ৭৫ লাখ রোগীকে বিশেষ চিকিৎসার উদ্যোগ সরকারের – government planning to provide special treatment for 75 lakh sugar and high blood pressure patients


বর্তমানে বহু মানুষই হাই সুগার – ডায়াবেটিস ও হাই প্রেসার বা লো প্রেসারের মতো সমস্যায় ভোগেন। এমনকী কখনও কখনও এই রোগের কারণে দেহে অন্যান্য রোগও বাসা বাধে। এককথায় বলতে গেলে এই ধরণের সমস্যায় বহু মানুষের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। কখনও কখনও অস্বাস্থ্যকর অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, আর কখনও পারিবারিকভাবে এই সমস্যা দেখা দেয় মানুষের শরীরে। তাই এবার এই দুই শারীরিক সমস্যাকে বাগে আনতে তৎপর রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যের ৭৫ লাখ হাই প্রেশার ও সুগারের রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এই মর্মে রাজ্যের সবক’টি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং সব মেডিক্যাল কলেজের সুপার তথা উপাধ্যক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সর্বশেষ ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে অনুযায়ী, বাংলার ১৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সুগার এবং ২০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে তা হল যথাক্রমে ৯০ লাখ ও ১ কোটি। তার মধ্যেই ৭৫ লাখ সুগার ও প্রেশারের রোগীকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মধ্যে আনার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ৭৫ লাখ হাই প্রেশার ও সুগারের রোগীকে আদর্শ চিকিৎসার অধীনে আনা হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের অনেকেই মনে করছেন, লক্ষ্য স্থির করলেই তো হবে না, সেটি পূরণ করতে হবে। প্রশ্ন হল কী ভাবে? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর –

  • একদিকে যেমন ৩০ বছর ঊর্ধ্ব রাজ্যবাসীর ৮০ শতাংশের তথ্য নথিভুক্ত এবং সুগার – প্রেশার পরীক্ষা করা হবে।
  • মোট সুগার ও প্রেশারের রোগীর অন্তত ৬০ শতাংশের রেজিস্ট্রেশন ও দ্রুত চিকিৎসা সুনিশ্চিত করা হবে।
  • রোজকার ক্লিনিক ছাড়াও প্রতি মাসে গ্রামীণ এলাকা এবং শহরাঞ্চলে কমপক্ষে ২টি করে ক্যাম্প করা হবে।
  • হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে সাইনবোর্ড দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে যে ৩০ বছর ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে সুগার এবং প্রেশার পরীক্ষা করা হয়।
  • টিবি কর্মসূচি, তামাকজাত বস্তু সেবন পরিত্যাগ কেন্দ্র, সিওপিডি ক্লিনিক প্রভৃতি কর্মসূচির সঙ্গে সমস্ত এনসিডি ক্লিনিককে যুক্ত করতে হবে।
  • বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে গুচ্ছ গুচ্ছ রোগী সুগার ও প্রেশার সংক্রান্ত চিকিৎসা করাতে আসেন, এক্ষেত্রে সেই তথ্যভাণ্ডারকেও কাজে লাগাতে হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *