এই সময়: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের উদাসীনতা নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। গোথা হাইস্কুল-সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলার স্কুলে বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের সব জেলার ডিআইদের রিপোর্ট সোমবার জমা দিতে পারেনি রাজ্য। তাতেই বেজায় চটে যায় আদালত। তবে রাজ্য কিছুটা সময় চাওয়ায় তা-ও মঞ্জুর করে আদালত।বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিনও মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি বসু। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী শুনানিতে ডিআইদের রিপোর্টের সঙ্গেই মামলার কেস ডায়েরি রাজ্যকে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যের ভিজিল্যান্স ও সিবিআইয়ের এই মামলার ক্ষেত্রে তদন্তের নিয়মাবলি দেখতে চায় আদালত।
রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, সিআইডি কী তদন্ত করছে? তিনজনের সিট গঠিত হয়েছে। প্রত্যেকের কাছে অভিযোগ এসেছে এতদিনে। তাহলে সেই তদন্ত কতদূর? স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দিন শেখ কি গ্রেপ্তার হয়েছে?
রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, সিআইডি কী তদন্ত করছে? তিনজনের সিট গঠিত হয়েছে। প্রত্যেকের কাছে অভিযোগ এসেছে এতদিনে। তাহলে সেই তদন্ত কতদূর? স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দিন শেখ কি গ্রেপ্তার হয়েছে?
উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী রুদ্রদীপ্ত নন্দী জানান, সিটের সদস্যদের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। গোথা হাইস্কুলে বাবা ও ছেলে গ্রেপ্তার হয়েছেন। আব্দুল রাকিবকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকলেই এই স্কুলের শিক্ষক ও ক্লার্ক হিসাবে কাজ করতেন। এছাড়াও জসমিনা খাতুন নামে আরও একজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।