পাশাপাশি নির্দিষ্ট কারও নাম না করে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যাঁরা বড় বড় কথা বলে বেড়াচ্ছে খুলব ভাণ্ডার! আমার ভাণ্ডারে অনেক কিছু জমা রয়েছে। আমার ভাণ্ডার খুললে বুঝতে পারবেন কোনটা ঠিক কোনটা ভুল। আমি ভুল জিনিসকে প্রশয় দিই না। জ্ঞানত দেবও না। যতটা পারব মানুষকে সাহায্য করব। মানুষকে সাহায্য করাই আমার কাজ। ভালো কাজের কোনও তুলনা হয় না। খারাপ কাজ যাঁরা করে খারাপ যাঁরা বলে বলে সেই দিকে তাকাবেন না।’
উল্লেখ্য, এর আগে বিমান বসু বলেন, ‘সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষ বলছেন তাদের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দিয়ে ভেড়ি করা হয়েছে। নন্দীগ্রামে কেমিক্যাল হাব তৈরি করতে চেয়ে জমি নির্দিষ্ট করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। অন্যদিকে, বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি দিল্লি যাওয়ার আগে বলেছিলেন, ‘সন্দেশখালি দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম’।
যদিও শাসক শিবিরের স্পষ্ট দাবি ছিল, লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য শাসক দলকে কলুষিত করার জন্যই চক্রান্ত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ৫০ দিনের বেশি সময় ধরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। এখনও গ্রেফতার হননি এই ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। এই নিয়ে রীতিমতো তপ্ত রাজ্য রাজনৈতিক মহল। এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যে কোনও এজেন্সি শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে। অর্থাৎ CBI বা ED-র শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারির ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প এবং কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।