অন্য দিকে, রমেশচন্দ্রকে অপহরণের অভিযোগে ধৃত দুই দুষ্কৃতী রাজা বিশ্বকর্মা ও শিবম নামদেওকে মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ডিজিটাল লেনদেনের যুগে কেনই বা এত ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে নগদ ৩৮ লক্ষ টাকা নিয়ে কলকাতায় আসছিলেন ওই ব্যক্তি?
হাওড়ার বদলে পানাগড়ে কেন নামলেন? এইসব প্রশ্নই উঠে আসছে পুলিশি তদন্তে। তা হলে কি ক্যারিয়ারকে দিয়ে কালো টাকার হাতবদল করা হচ্ছিল? সূত্রের খবর, জেরায় পুলিশকে রমেশচন্দ্র জানিয়েছেন, ৩৮ লক্ষ টাকা নিয়ে কলকাতায় সোনা কিনতে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে পুলিশ তাঁর এই কথা মানতে নারাজ।
দেড় বছর আগে দুর্গাপুর স্টেশন থেকে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল রেল পুলিশ। নগদ ৩৩ লক্ষ টাকা নিয়ে তিনি কলকাতায় যাচ্ছিলেন। পুলিশি জেরায় ধৃত ব্যক্তি স্বীকার করেছিলেন যে তিনি ক্যারিয়ারের কাজ করেন। যে কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কালো টাকা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেন।
ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ক্যারিয়াররা সাধারণত রুট বদল করে থাকে। রাস্তায় আসার সময় ট্রেন ছেড়ে কখনও বাসে উঠে পড়েন। আবার কখনও বাস ছেড়ে ট্রেনে উঠে পড়েন। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের বাসিন্দা রমেশচন্দ্র মহান্তি সোমবার সকালে ডাউন মুম্বই মেলে পানাগড় স্টেশনে নামেন। সেখান থেকে তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে পালায় দুই দুষ্কৃতী।
পথ ভুল করে সেই গাড়ি কাঁকসা থানা সংলগ্ন রাস্তা ধরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসে গিয়ে ওঠে। থানার পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে রমেশচন্দ্র চিৎকার করে। গাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা কাঁকসা থানায় খবর দেন। ১৫ মিনিটের মধ্যে কাঁকসা থানার পুলিশ ধাওয়া করে রমেশচন্দ্রকে উদ্ধার করে। দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের নম্বরের ওই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।