সেটা ১৮৯৫-৯৬ সাল। সেই সময়ে আলিপুর চিড়িয়াখানায় যাঁরা আসতেন, তাঁরা শুধুই জন্তু আর পাখি দেখে বাড়ি ফিরতেন না। তাঁদের জন্যে ব্যবস্থা ছিল বিশেষ এক ধরনের অ্যাডভেঞ্চারের। ছিল বেলুন রাইডের ব্যবস্থা। অ্যাডভেঞ্চার সেখানেই শেষ নয়। যাঁরা আরও দুঃসাহসী, তাঁরা উড়ন্ত বেলুন থেকে প্যারাস্যুট নিয়ে লাফ মারতেও পারতেন। প্রায় ১৩০ বছর পর চিড়িয়াখানার দর্শকদের ৩৩ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই বাগান এবং নানা জীবজন্তু ও পাখির এনক্লোজ়ার ঘুরে দেখার জন্যে চালু হচ্ছে ব্যাটারি-চালিত গাড়ি।
কয়েক দিন আগেই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, সাংসদ মালা রায় তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে চিড়িয়াখানাকে ১০টি ব্যাটারি-চালিত গাড়ি উপহার দিয়েছেন। সেই গাড়িগুলোই আজ, শুক্রবার থেকে দর্শকদের পরিষেবায় লাগানো হবে। আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, ‘এই ধরনের গাড়িতে চেপে আগ্রহীরা চিড়িয়াখানায় একটা গাইডেড ট্যুর পেতে পারেন। এর জন্যে তাঁদের ঘণ্টায় ১০০ টাকা হারে টিকিট কাটতে হবে। এর জন্যে চিড়িয়াখানার মধ্যেই আলাদা কাউন্টার খোলা হবে।’
ডিরেক্টর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বাদে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ন’টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত গাড়ির টিকিট কাটা যাবে। তবে দর্শকের উপস্থিতি ও চাহিদার উপরে নির্ভর করে এই পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।