মিহিজাম থানার ওসি রাজীব রঞ্জন বলেন, ‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালাই। ওই দু’টি কন্টেনার থেকে শতাধিক গোরু উদ্ধার করা হয়েছে। কন্টেনার দু’টির নম্বর নাগাল্যান্ডের। ওই নম্বরগুলো আসল না জাল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতদের কাছে থেকে আরও ৭ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তারা ভাগলপুর সমেত বিহারের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।’
এই কারবারে ধৃতরা যুক্ত বলে দাবি পুলিশের। মিহিজাম থানার ওসি বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে এরা জানিয়েছে, ওই রাজ্যের বিভিন্ন হাট থেকে গোরুগুলো তারা কিনেছিল। পশ্চিমবঙ্গ হয়ে গোরুগুলোকে বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এদের অন্যতম মাথা বিহারের কিংপিং মহম্মদ ইজাজ। তার খোঁজ চলছে।’
গোরুপাচার মামলার তদন্ত করছে ইডি, সিবিআই। সেই মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল সহ একাধিক নেতা ও ব্যবসায়ী এখন জেলে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর তদন্ত চলাকালীন সময়েও দেখা যাচ্ছে, ভিন রাজ্য থেকে এ রাজ্যে গোরুপাচার বন্ধ হয়নি। রাতের অন্ধকারে পিক-আপ ভ্যান, ট্রাক, কন্টেনারে নিয়মিত চলছে গোরুপাচার।
দিনকয়েক আগে আসানসোলে পাচারকে কেন্দ্র করে একটি গোরুর গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয়েছিল একটি গাড়িতেও। পশ্চিম ও পূর্ব, দুই বর্ধমানেই আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল গোরু সমেত গাড়ি ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। পার্শ্ববর্তী জেলা পুরুলিয়াতেও আমুল দুধ লেখা কন্টেনারে গোরুপাচারের ঘটনা সামনে এসেছিল। সেই কন্টেনারটি দুর্ঘটনায় পড়লে পাচারের বিষয়টি সামনে আসে।