Kalna Sub District Hospital : কালনা হাসপাতালে বৃদ্ধার সোনার দুল কেপমারির চেষ্টা – man tried to steal gold pendant an old woman who came for treatment at kalna sub district hospital


এই সময়, কালনা: প্রথমে মনে বিশ্বাস জাগানোর চেষ্টা। তার পর ছলনা করে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা এক বৃদ্ধার একজোড়া সোনার দুল হাতানোর চেষ্টার নালিশ উঠল কালনা মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে। যদিও বছর ৭০-এর ওই বৃদ্ধা শেষ মুহূর্তে বিষয়টি বুঝে ফেলায় সফল হয়নি উদ্দেশ্য। কালনার নন্দগ্রামের বাসিন্দা সন্ধ্যা অধিকারী নামে ওই বৃদ্ধা বিষয়টি মৌখিক ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান।এর পর সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হলে এক যুবককে তাঁর সঙ্গে দেখা যায়। ওই যুবকই তাঁকে ফাঁদে ফেলে দুল হাতানোর চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধা। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এ নিয়ে লিখিত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এমন ঘটনার শিকার যাতে কেউ না হন তার জন্য সতর্ক থাকার কথা বলা হচ্ছে।

ওই বৃদ্ধা জানান, গত মঙ্গলবারও কালনা মহকুমা হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন তিনি। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ের আউটডোরে ফের চিকিৎসককে দেখানোর জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। ইমারজেন্সি বিভাগের গেটে আসার কিছু আগে বছর ৪০-এর এক যুবক তাঁকে ‘মা’ বলে ডাকে।

বৃদ্ধা বলেন, ‘ওই যুবকটি আমাকে বলে, চিনতে পারছ না? কাল তোমাকে আউটডোরে দেখানোর টিকিট কেটে দিয়েছিলাম। কাল এক জন আমাকে টিকিট কেটে দিয়েছিল। তাই বিশ্বাস করেছিলাম। এর পরই একটি ব্যাগ দেখিয়ে বলল, ব্যাগটা কুড়িয়ে পেয়েছি। ব্যাগ খুলে দেখাল তাতে টাকা রয়েছে। আমাকে বলল, টাকাটা দু’জনে ভাগ করে নেব।’

এই কথোপকথনের সময়ে সেখানে এক জন এসে পড়েন। বৃদ্ধা বলেন, ‘ওই লোকটিকে দেখিয়ে যুবকটি আমাকে বলে, পাশে যে রয়েছে সে আমার দুল খুলে নিতে পারে। তাই দুল খুলে ওই ব্যাগের মধ্যে রাখতে বলে। এর পরই ছেলেটি আমার দুল খুলতে শুরু করে। তখনই আমার মনে হয় কোনও ফাঁদে পড়েছি। ওর কাছ থেকে দুল কেড়ে নিই।’

Baruipur Sub District Hospital : বারুইপুর হাসপাতালের ভিতরে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের স্ট্যান্ড, সমস্যায় রোগীরা

এই ঘটনার পর সেখান থেকে চলে যায় ওই যুবক। বিষয়টি হাসপাতালের ইমারজেন্সির গেটে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের জানান বৃদ্ধা। তবে তাঁরা এলেও ওই যুবকের দেখা মেলেনি। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হাসপাতালে এক দিনে তিনটি মোবাইল চুরি গিয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ অবশ্য তিনটি মোবাইল উদ্ধার করে।

এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে হাসপাতালের সহকারী সুপার গৌতম বিশ্বাস বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্তু লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি। পুলিশ যদি অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে সেক্ষেত্রে তাদের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দেওয়া হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *