ঘটনার সূত্রপাতত গত জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ। ওই দিন রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির তদন্তে সন্দেশখালিতে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ শাহজাহানের বাড়িতে ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই সেখান উপস্থিত হয় শাহজাহানের অনুগামীরা। ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাদের। অভিযোগ তারপরেই ইডির ওপর চড়াও হয় শাহজাহানের অনুগামীরা। ব্যাপক মারধর করা হয় ইটডির আধিকারিকদের। মাথায় গুরুতর চোট পান এক ইডি অফিসার। গলগল করে বর হতে থাকে রক্ত। তড়ঘড়ি তাঁকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন শেখ শাহজাহান।
এদিকে এরই মাঝে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন স্থানীয় মহিলারা। একে একে নাম উঠে আসে অজিত মাইতি, শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজেরও। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই জোর করে জমি দখল, সেখানে ভেড়ি তৈরি, মারধর, হুমকি সহ বিবিধ অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। এছাড়া নির্যাতনের অভিযোগ তুলতে থাকেন সন্দেশখালির মহিলারা। স্থানীয় একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় প্রমিলা বাহিনী।
এইসবের মাঝেই শেখ শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা যাচ্ছে না, বারেবারেই উঠছিল সেই প্রশ্নও। এক্ষেত্রে সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আদালত হাত – পা বেঁধে দেওয়ার জন্যই শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। যদিও পরে আদালত জানিয়ে দেয়, শাহজাহানকে গ্রেফতারে কোনও বাধা নেই। আর এবার দেখা গেল অবশেষে খাঁচাবন্দী সন্দেশখালির ‘বাঘ’।