এক সেনা কর্তাদের দাবি, এই মহড়ার ফলে সেনা কর্মীরা আরও বেশি অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন। সেনার মুখপাত্র অঞ্জনকুমার বসুমাতারি জানান, নিয়ম ও সূচি ধরেই এই মহড়া হয়েছে। সেনার ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটলিয়ন এতে অংশ নিয়েছিল। অন্যদিকে, এর আগে সেনার তরফে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় জলপথ ও আকাশে বিশেষ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। বায়ুসেনাও সেই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এই মহড়া হয়। সেখানে প্যারাট্রুপাররা কীভাবে নামবেন যুদ্ধস্থলে, ও নদী পেরিয়ে কীভাবে যাবেন সেসব মহড়া হয়। সেই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছিল ডেভিল স্ট্রাইক। রাফাল এর মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানও এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল।
মিসাইল ব্যবহারের মহড়া
সিকিম-চিন সীমান্ত, ভুটান সীমান্ত, নেপাল সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধবিমানে মহড়া চালানো হয়েছিল। চীন সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় এই মহড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে যদিও কিছু বলতে চাননি সেনা কর্তারা। তবে নিয়ম ও রুটিন মাফিক এই মহড়া প্রতি বছর করা হয় বলেই জানিয়েছেন সেনা কর্তারা। তবে এবার জলপথ, আকাশ, স্থলপথে যুদ্ধের এই মহড়ার নানা ছবি, ভিডিয়ো সামনে আনা হয়েছে। আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, আধুনিক যুদ্ধবিমানের ব্যবহার সহ সেগুকি কার্যক্ষমতাকেও সামনে আনছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গের আকাশপথে চলে বায়ুসেনার মহড়া। এই মহড়ার নাম দেওয়া হয় ‘ডেভিল স্ট্রাইক’। কোচবিহারের বাংলাদেশ সীমান্ত, আলিপুরদুয়ারের ভুটান সীমান্ত এবং দার্জিলিঙের নেপাল থেকে সিকিম-চিন সীমান্ত রাফালের মতো যুদ্ধবিমান ওড়ানো হয়। বাগডোগরা, বেংডুবি, হাসিমারা-সহ বিভিন্ন সেনা ছাউনি এতে অংশ নিয়েছিল।
