Indian Army : স্থলপথে রণ কৌশলের মহড়া, উত্তরবঙ্গে ৮ দিনের বিশেষ আয়োজন সেনাবাহিনীর – indian army conducted ground war rehearsal at north bengal


একের পর এক মিসাইল ওড়ানো হচ্ছে আকাশে। নিশানা করে ছাড়া হচ্ছে সেই মিসাইল। এক পলকে দেখলে, মনেই হবে কোনও যুদ্ধ চলছে। তবে পুরোটাই, যুদ্ধের মহড়া। আকাশপথ, জলপথের পর এবার স্থলপথে যুদ্ধের মহড়া। সেনাবাহিনীর তরফে সেবক, ডুয়ার্সের নানা এলাকায় মহড়া চালানো হয়েছে।উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের দায়িত্বে থাকা সুকনার ৩৩ কোরের তরফে প্রায় ৮ দিনের এই স্থলযুদ্ধের মহড়া চালানো হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, ট্যাঙ্ক ধ্বংসের জন্য মিসাইল ব্যবহারের মহড়া চালানো হয়েছে। ২৬০ টি মিসাইল এই মহড়ায় ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার সেনা জওয়ান এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিলেন। স্থলযুদ্ধের সময় মিসাইলের ব্যবহার কীভাবে করতে হবে ও আরও কী কী করণীয় সেসব মহড়ায় দেখানো হয়েছে।

এক সেনা কর্তাদের দাবি, এই মহড়ার ফলে সেনা কর্মীরা আরও বেশি অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন। সেনার মুখপাত্র অঞ্জনকুমার বসুমাতারি জানান, নিয়ম ও সূচি ধরেই এই মহড়া হয়েছে। সেনার ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটলিয়ন এতে অংশ নিয়েছিল। অন্যদিকে, এর আগে সেনার তরফে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় জলপথ ও আকাশে বিশেষ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। বায়ুসেনাও সেই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এই মহড়া হয়। সেখানে প্যারাট্রুপাররা কীভাবে নামবেন যুদ্ধস্থলে, ও নদী পেরিয়ে কীভাবে যাবেন সেসব মহড়া হয়। সেই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছিল ডেভিল স্ট্রাইক। রাফাল এর মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানও এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল।

Indian Army

মিসাইল ব্যবহারের মহড়া

সিকিম-চিন সীমান্ত, ভুটান সীমান্ত, নেপাল সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধবিমানে মহড়া চালানো হয়েছিল। চীন সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় এই মহড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে যদিও কিছু বলতে চাননি সেনা কর্তারা। তবে নিয়ম ও রুটিন মাফিক এই মহড়া প্রতি বছর করা হয় বলেই জানিয়েছেন সেনা কর্তারা। তবে এবার জলপথ, আকাশ, স্থলপথে যুদ্ধের এই মহড়ার নানা ছবি, ভিডিয়ো সামনে আনা হয়েছে। আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, আধুনিক যুদ্ধবিমানের ব্যবহার সহ সেগুকি কার্যক্ষমতাকেও সামনে আনছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

Indian Army : ‘দেবেন কি কোস্টগার্ডের মহিলাদের স্থায়ী কমিশন, না হলে আমরা দেব’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গের আকাশপথে চলে বায়ুসেনার মহড়া। এই মহড়ার নাম দেওয়া হয় ‘ডেভিল স্ট্রাইক’। কোচবিহারের বাংলাদেশ সীমান্ত, আলিপুরদুয়ারের ভুটান সীমান্ত এবং দার্জিলিঙের নেপাল থেকে সিকিম-চিন সীমান্ত রাফালের মতো যুদ্ধবিমান ওড়ানো হয়। বাগডোগরা, বেংডুবি, হাসিমারা-সহ বিভিন্ন সেনা ছাউনি এতে অংশ নিয়েছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *