Lok Sabha Election: ‘মুসলিম বোনরাও বিজেপিকে ভোট দেবেন’, সংখ্যালঘু মন জয়ে সচেষ্ট মোদী – narendra modi prime minister talks about minority vote in west bengal creates new speculation


বাংলায় কি BJP-র ‘টার্গেট’ সংখ্য়ালঘু ভোট?
আরামবাগে মোদী এলেন, তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন, সন্দেশখালি নিয়ে বিরোধিতার ‘সন্দেশ’ দিলেন, আর শেষ লগ্নে রাখলেন বিশেষ বার্তা। তিনি বললেন, ‘মুসলিম বোনেরা এবার তৃণমূলকে শিক্ষা দেবে।’ এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ‘টার্গেট ৩৫ আসন ’-এর ক্ষেত্রে নীতি নিয়ে কি অন্য সুর বেঁধে দিলেন মোদী?লোকসভা নির্বাচনে BJP-র টার্গেট বাংলা। বঙ্গ থেকে ৩৫টি আসন চাইছে BJP, স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আক্রমণের সুর আরও ঝাঁঝাল করতে চাইছেন নমো, মত রাজনৈতিক কারবারিদের।

বাংলায় এসে সন্দেশখালিকে সামনে রেখে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন মোদী বলেন, ‘তৃণমূল সন্দেশখালির বোনেদের সঙ্গে যা করেছে তা দেখে সমগ্র দেশ দুঃখিত, রেগে আছে তারা। রাজা রামমোহন রায়ের আত্মা যেখানেই থাকুক তিনি আজ এই পরিস্থিতি দেখে কাঁদছেন। তৃণমূলের নেতা সন্দেশখালিতে মা, বোনদের উপর অত্যাচারের সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছিল। যখন এর বিরুদ্ধে মহিলারা আওয়াজ তুললেন, মুখ্যমন্ত্রী কাছে সাহায্য চাইলেন তখন বদলে তাঁরা কি পেলেন?’

বঙ্গ রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, সন্দেশখালি নিয়ে মোদী আক্রমণ করবেন, তা অনেকটাই স্পষ্ট ছিল। কিন্তু, এভাবে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে খোলা ময়দান থেকে কবে মোদী বার্তা দিয়েছেন, তা মনে করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল BJP। এই ১৮টি আসন পদ্ম শিবিরে কার্যত অক্সিজেন জোগায়। বঙ্গে BJP-র ভোট ছিল ২৩, ০২৮, ৩৪৩ অর্থাৎ ৪০.২৫ শতাংশের কাছাকাছি।

এদিকে BJP একাধিকবার বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বিভাজন রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে। ভোট অংকের জন্য কোনও আলাদা করে বাছবিচারের করে না গেরুয়া শিবির, এমনটাও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল একাধিক গেরুয়া শিবিরের নেতাকে।

Narendra Modi Visit Arambagh : ‘সন্দেশখালিতে মা-বোনেরা অত্যাচারিত, এই তৃণমূলকে ক্ষমা করবেন?’ প্রশ্ন মোদীর

সেই জায়গায় বঙ্গে এসে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে বার্তা, মোদীর মন্তব্যে নিজেদের মতো করে সমীকরণ খুঁজছে রাজনৈতিক কারবারিরা। তাঁদের কথায়, ৩৫টি আসনের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে বঙ্গ বিজেপিকে। সেই জায়গায় রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ গেরুয়া শিবিরের কাছে। পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোট এবং তৃণমূলকে টেক্কা দিয়ে এই বিরাট টার্গেট পূরণ নেহাত 2+2 = 4 করার মতো সহজ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *