Nagerbazar Police,লিভ ইন পার্টনারের গগনচুম্বী আকাঙ্খা! EMI-বিয়ে নিয়ে অশান্তিতেই কি খুন সার্থক? – nagerbazar police arrest a woman for kill her live in partner


এই সময়: মেক-আপ সংস্থার পাশাপাশি মাসছয়েক আগে একটি রেস্তরাঁ খুলেছিলেন দমদমের বাসিন্দা সংহতি পাল। সে জন্য ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকা লোন নিয়েছিলেন তিনি। ঠিক হয়েছিল, ওই লোনের ইএমআই-এর ৫০ শতাংশ টাকা মেটাবেন তাঁর লিভ-ইন পার্টনার, হাতিবাগানের বাসিন্দা সার্থক দাস (৩০)।তবে সেই টাকা গত কয়েক মাস ধরে দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন সার্থক। তা ছাড়া সংহতি বিয়ের জন্য চাপ দিলেও তাতে নারাজ ছিলেন প্রেমিক। অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই সার্থক বিয়েতে রাজি হচ্ছিলেন না বলে সন্দেহ করতেন সংহতি। এ সব কারণেই মঙ্গলবার রাতে তিনি সার্থককে খুন করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ।

পেশায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কর্মী তথা ফোটোগ্রাফার সার্থকের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই সংহতির কড়া শাস্তির দাবি তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। পুলিশ সূত্রের খবর, বছর দশেক আগে দক্ষিণেশ্বরের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার বাসিন্দা সংহতির। দু’জনের একটি ছেলেও হয়।

তবে বছর দুয়েক আগে ডিভোর্স হয়ে যায় সংহতির। এর কয়েকমাস পরেই সার্থকের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় তাঁর। তার তিন মাস পর থেকেই দমদমের মধুগড় এলাকার একটি পাঁচতলা আবাসনে থাকতে শুরু করেন দু’জনে। সংহতির সঙ্গে থাকত তাঁর সাত বছরের ছেলেও।

সোমবার রাতে মারা যান সার্থকের মা। নিমতলা শ্মশানে মায়ের দাহ সেরে মঙ্গলবার মধুগড়ের ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন সার্থক। এরপরেই ঝামেলা শুরু হয় তাঁদের। আচমকা রান্নাঘরে থাকা ছুরি নিয়ে সার্থকের পেটে আঘাত করেন সংহতি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *