সন্ডালিয়া, ডানকুনি, বালটিকুটিতে ডবল লাইন করা হয়েছে বলে জানান মোদী। এদিন উন্নয়ন এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার কথা বলেন মোদী। তিনি বলেন, ‘হলদিয়া থেকে বারাওনি পর্যন্ত একটি খনিজ তেলের পাইপলাইন এর অন্যতম উদাহারণ। এর ফলে খনিজ তেল বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে তিনটি আলাদা আলাদা তেল শোধনাগারে পাঠানো হবে।’
পশ্চিম মেদিনীপুরে যে LPG বটলিং প্ল্যান্ট তৈরি হয়েছে তাতে ৭ জেলার মানুষের সুবিধা হবে। এতে কর্মসংস্থান হতে পারে। হুগলি নদীর দূষণ কমাতে শুরু করা হচ্ছে একটি বিশেষ উদ্যোগ। এর ফলে হাওড়া, কামারহাটি এবং বরানগরের মানুষরা পাবেন বলে দাবি মোদীর। কোনও রাজ্যে একটি উন্নয়নপ্রকল্প শুরু হলে সেখানের মানুষজনের এগিয়ে যাওয়ার একাধিক রাস্তা খুলে যায় বলে জানান মোদী।
চলতি বছর ১৩ হাজার কোটি টাকা রেল বাজেটে বাংলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে বাংলার জন্য জানান মোদী। তিনি আরও বলেন, ‘গত দশ বছরে পশ্চিমবঙ্গে থমকে যাওয়ার একাধিক রেল প্রকল্প হয়েছে।’ এদিন সরকারি কার্যক্রম শেষ করার পর মোদী বলেন, ‘বাংলার মানুষকে অভিনন্দন। সরকারি অনুষ্ঠান এখানেই শেষ দশ মিনিটের মধ্যে খোলা মাঠের নীচে যাচ্ছি। খোলা মাঠের নীচে বক্তব্য রাখার মজা আলাদা। আজ অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু, ওই মঞ্চে বলব।’ মোদীর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থাৎ এদিনের দলীয় বৈঠক থেকে একাধিক বার্তা দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী, সেই ইঙ্গিত তিনি দিয়েই দিয়েছেন। এখন তিনি কী বলেন, তাই দেখার।