বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠান থেকে অধীর বলেন, ‘নাগরিক আইন, এনআরসি এখন ঘুমাচ্ছে। ভোট এলে জাগবে। কেন্দ্রের এই দুই অস্ত্র। ভয় দেখানো হবে। আমি একথা আগেও বলেছি।’ অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, সংশোধিত আইন নিয়ে কিছু বলবেন না মোদী। ওই বিষয়টি নিয়ে যা বলার বলবেন অমিত শাহ। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘ওটা অমিত শাহর জন্য রাখা হয়েছে। কারণ রুলটা এখনও তৈরি হয়নি। অমিত শাহ বলেছেন রুল তৈরি করে দেব। ২০১৯ সালে আইনটা পাশ হয়ে গিয়েছে। যদি হওয়ার থাকতো এতদিনে হয়ে যেত।’
প্রসঙ্গত, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে ফের নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে গত কয়েক মাসে। বিশেষত, বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর নিজেই জানিয়েছিলেন, কিছুদিনের মধ্যে এই আইন সারা দেশ ব্যাপী চালু করবে রাজ্য সরকার। ডেডলাইনও বেধে দেন তিনি। তাঁর এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন ঘোষণার আগেই CAA চালুর ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
যদিও রাজ্যে কোনওভাবেই এই আইন চালু হতে দেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। CAA এবং NRC নিয়ে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের পথেই হাঁটল ইন্ডিয়া জোটের শরিক কংগ্রেসও। তবে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়েও খোঁচা দিতে ভোলেননি অধীর। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের পদত্যাগ ইস্যুতেও অধীর বলেন, ‘তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব আজ প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। দলের ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে।’