গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাওড়া জেলা থেকে তিন নেতার পদত্যাগ চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরকে। দল ছেড়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া এবং ডঃ রথীন চক্রবর্তী। বিধানসভায় টিকিটও পেয়েছিলেন তাঁরা। যদিও, জেতার আশা পূরণ হয়নি কারোরই। শিবপুর আসন থেকে গত বিধানসভা আসনে লড়েছিলেন ডঃ রথীন চক্রবর্তী। মনোজ তিওয়ারির কাছে হারেন তিনি। তাঁর উপর এবার লোকসভা কেন্দ্র জিতে আসার দায়িত্ব দিল বিজেপি।হাওড়া কেন্দ্র থেকে কে এবার টিকিট পাবেন সেই জল্পনা ছিল দলের অন্দরে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই এল সেই চমক। হাওড়ায় প্রসিদ্ধ চিকিৎসক ডঃ ভোলানাথ চক্রবর্তীর পুত্র ডঃ রথীন চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি হাওড়া কর্পোরেশনের মেয়র হন। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে তিনি বিজেপিতে যান।
বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে শিবপুর কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দেয়। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে জোর লড়াই দেন রথীন চক্রবর্তী। তবে প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। যদিও, বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর খুব সক্রিয় ভাবে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি তাঁকে। ফের তাঁকে সম্মুখ সমরে নিয়ে এসে লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নামাল বিজেপি।
বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে শিবপুর কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দেয়। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে জোর লড়াই দেন রথীন চক্রবর্তী। তবে প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। যদিও, বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর খুব সক্রিয় ভাবে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি তাঁকে। ফের তাঁকে সম্মুখ সমরে নিয়ে এসে লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নামাল বিজেপি।
এর আগে হাওড়া পুর নির্বাচনে বিশেষ কমিটি গঠন করা বিজেপির তরফে। সেই কমিটির প্রধান করা হয় হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকেই। উল্লেখ্য, স্বনামধন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবে এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর। সেই জনপ্রিয়তাকেই ভোট বাক্স রূপান্তরিত করতে চাইছে বিজেপি বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।
তবে, হাওড়া থেকে এবারের লোকসভার নির্বাচনে কি ভালো ফল করবে বিজেপি। বিজেপির সহ সম্পাদক সঞ্জয় সিং জানান, আমদের দল থেকে যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁর জন্য সকলেই ঝাঁপিয়ে পড়ব। দল সঠিক বিবেচনা করে প্রার্থী নির্বাচন করেছে। তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের ময়দানে ডঃ রথীন চক্রবর্তীকে এই কেন্দ্র থেকে জিতিয়ে আনা আমাদের কর্তব্য। এই কেন্দ্র থেকে তাঁকে জিতিয়ে একটি আসন মোদীর হতে তুলে দেব আমরা।