শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাস দু’য়েক আগে খেলা করতে করতে হঠাৎ মাথার উপর ভর দিয়ে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় গভীর চোট লাগে মাথাতে। চিড় ধরে করোটিতে (মাথার খুলি)। প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু তাতে বিপদমুক্ত হয়নি সে। চিকিৎসকরা জানান, মাথায় জটিল অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। যা যথেষ্ট খরচা সাপেক্ষ। আর্থিক সঙ্গতি না থাকাই ছেলের চিকিৎসা করানো নিয়ে মহা বিপদে পরে শিশুটির বাবা ও মা।
এরপর বিষয়টি জানতে পারেন স্থানীয় বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বাবা-মাকে ডেকে ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন। এককালীন আর্থিক সাহায্যও করেন। এরপর বিধায়কের প্রচেষ্টাতে চিকিৎসার জন্য শিশুকে ভর্তি করা হয় পিজি হাসপাতালে। সম্প্রতি সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর মাথায় অপারেশন করেন। করোটিতে লাগানো হয় ধাতু প্লেট। অস্ত্রোপচার সফল হয় বলে জানান চিকিৎসক।
অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ ছেলেকে নিয়ে সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন তাঁর অভিভাবকেরা। শনিবার সুস্থ ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বিধায়কের সঙ্গে দেখা করেন তার মা হেনা বিবি। কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানান বিধায়ককে। শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে আদর করেন বিধায়ক। বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন আমি হেতু মাত্র । কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত পিজি হাসপাতালের চিকিৎসকদের। যাদের কারণে ছেলেটি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। তাঁর কথায়, অনেকেই সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তি ছড়ান, এটা ঠিক নয়। সফল জটিল অপারেশন প্রমাণ করল সরকারি হাসপাতালেও আধুনিক চিকিৎসা হয় এই রাজ্যে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকেও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি।