পয়লা ফেব্রুয়ারি শান্তিপুরের সরকারি পরিষেবা বিতরণের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহুয়াকে ওরা তাড়িয়ে দিয়েছে। কেন? মহুয়া মানুষের ভোটে জিতবে। আমি বিশ্বাস করি মানুষ ভোট দেবে মহুয়াকে।’ এরপর থেকে আরও বেশি উজ্জীবিত হয়ে মহুয়া জনসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরে বিজেপি হারলেও জয় পেয়েছিল রানাঘাট কেন্দ্রে। এবার তৃণমূল সেই আসনও ছিনিয়ে নিতে চায়। মমতার কথায়, ‘রানাঘাটে আপনারা একজনকে জিতিয়েছিলেন। মা-বোনেরা ভালোভাবে জানেন তিনি কী করে বেড়াচ্ছেন। এবার কিন্তু আপনারা রানাঘাটেও আমাদের সমর্থন দেবেন। প্লিজ দেবেন।’
বিজেপিও বসে নেই। প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে তারা নদিয়াকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। গত রবিবার ভার্চুয়াল মোডে নদিয়ার কল্যাণী এইমস-এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০ ফেব্রুয়ারি কৃষ্ণনগর সংলগ্ন গ্রামে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনেও তিনি ছিলেন সেই ভার্চুয়াল মোডে। আর এ বার সশরীরে আসছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। বিজেপির কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস ও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় একসুরে বলেন, ‘কৃষ্ণনগরের জনসভায় দেড় লক্ষের বেশি মানুষের সমাবেশ হবে। আমরা এবার কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট, জেলার দু’টি আসনই জিতব।’
মোদীর সভার দিনই কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। যে সময় বাংলায় বিজেপি ছিল একেবারে প্রান্তিক শক্তি, তখন এই ঐতিহাসিক শহর থেকে জিতে বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন দুঁদে আইনজীবী সত্যব্রত ওরফে জলুবাবু। মোদী ম্যাজিকে কি এ বার হারানো ঘর ফিরে পাবে গেরুয়া শিবির?