West Bengal School : প্রধান শিক্ষকের টেবিলে লেখা ‘সবার আমি ছাত্র’, কারণ জানলে সমীহ বাড়বে – birbhum school teacher keeps a board where he wrote that he is student of everyone


তিনি প্রধান শিক্ষক। প্রতিদিন শয়ে শয়ে পড়ুয়াকে পাঠ দেন তিনি। কিন্তু, তাঁর টেবিলের উলটোপারে লেখা ‘সবার আমি ছাত্র’। যাঁর হাত ধরে প্রতিদিন হাজার হাজার পড়ুয়া শিক্ষিত হচ্ছেন তিনি করে সকলের ছাত্র? এবার কারণ ব্যাখ্যা করলেন প্রধান শিক্ষক। আর তা জানার পরেই আপ্লুত অনেকেই।ঘটনাটি বীরভূমের মেটেলা উচ্চ বিদ্যালয়ের। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ দে। তাঁর টেবিলের সামনেই লেখা ‘সবার ছাত্র আমি।’ অনেকেই নিত্য কাজের জন্য প্রয়োজনে ঢুঁ মারেন প্রধান শিক্ষকের কক্ষে। আর এই লেখা দেখেই থমকান অনেকেই। কেন একজন প্রধান শিক্ষকের টেবিল থেকে এই বার্তা যাবে! তা নিয়ে হাজার প্রশ্ন।

কল্যাণ দে জানান, তিনি দুবরাজপুরের হেতমপুর গ্রামে থাকেন। ছেলেবেলা থেকেই সংঘর্ষ করে তাঁর বড় হওয়া, পড়াশোনা। পরিবার আর্থিকভাবে সেই রকম স্বচ্ছল ছিল না। কিন্তু, সেই প্রতিকূলতা তাঁর জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তিনি পড়াশোনা করে শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন যাতে আগামী প্রজন্মকে তিনি তৈরি করতে পারেন।

গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। প্রথমে হেতমপুর রাজ উচ্চবিদ্যালয় স্কুলে বিদ্যালয় শিক্ষার পাঠ মেটান। এরপর হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজে পড়াশোনা করেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর অংক ছিল ফেভারিট সাবজেক্ট। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকেও ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। প্রথমে হেতমপুর রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষক হয়ে কাজে যোগদান করেন।

এরপর SSC দিয়ে পাঁচরা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ানোর সুযোগ পান। সেখানে প্রায় ১৭ বছর পড়ান তিনি। এরপর রাজলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কার্য নির্বাহ করেন। পরবর্তীতে তিনি মেটেলা উচ্চ বিদ্যালয়ের যোগ দেন এবং বর্তমানে সেখানেই কর্মরত। কল্যাণ দে বলেন, ‘মানুষের জীবনের শিক্ষার কোনও শেষ নেই। সমস্ত মানুষ, ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকেই প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শেখা যায়। আর সেই কারণেই প্রত্যেকের কাছে কিছু না কিছু জ্ঞান আহরণ করেন বলেই এই শব্দ লিখে রেখেছেন তিনি।’

স্কুলের সামনে মাতাল হয়ে বেহুঁশ হিন্দি শিক্ষক, বর্ধমানের স্কুলে হইচই

প্রধান শিক্ষকের এই শিক্ষায় কার্যত আপ্লুত পড়ুয়াদের পরিবাররা। তাঁদের কথায়, ‘একজন শিক্ষককে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হন। আজকের প্রজন্ম মূল্যবোধ, পুঁথিগত শিক্ষার বাইরে অনেকটা সময় ভার্চুয়াল দুনিয়াকে দেয়। আর সেই কারণেই হয়তো এই শিক্ষা আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ এই ছবি নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। নেটমাধ্যমে এই শিক্ষকের প্রশংসা করা হচ্ছে বিস্তর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *