কল্যাণ দে জানান, তিনি দুবরাজপুরের হেতমপুর গ্রামে থাকেন। ছেলেবেলা থেকেই সংঘর্ষ করে তাঁর বড় হওয়া, পড়াশোনা। পরিবার আর্থিকভাবে সেই রকম স্বচ্ছল ছিল না। কিন্তু, সেই প্রতিকূলতা তাঁর জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তিনি পড়াশোনা করে শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন যাতে আগামী প্রজন্মকে তিনি তৈরি করতে পারেন।
গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। প্রথমে হেতমপুর রাজ উচ্চবিদ্যালয় স্কুলে বিদ্যালয় শিক্ষার পাঠ মেটান। এরপর হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজে পড়াশোনা করেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর অংক ছিল ফেভারিট সাবজেক্ট। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকেও ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। প্রথমে হেতমপুর রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষক হয়ে কাজে যোগদান করেন।
এরপর SSC দিয়ে পাঁচরা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ানোর সুযোগ পান। সেখানে প্রায় ১৭ বছর পড়ান তিনি। এরপর রাজলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কার্য নির্বাহ করেন। পরবর্তীতে তিনি মেটেলা উচ্চ বিদ্যালয়ের যোগ দেন এবং বর্তমানে সেখানেই কর্মরত। কল্যাণ দে বলেন, ‘মানুষের জীবনের শিক্ষার কোনও শেষ নেই। সমস্ত মানুষ, ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকেই প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শেখা যায়। আর সেই কারণেই প্রত্যেকের কাছে কিছু না কিছু জ্ঞান আহরণ করেন বলেই এই শব্দ লিখে রেখেছেন তিনি।’
প্রধান শিক্ষকের এই শিক্ষায় কার্যত আপ্লুত পড়ুয়াদের পরিবাররা। তাঁদের কথায়, ‘একজন শিক্ষককে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হন। আজকের প্রজন্ম মূল্যবোধ, পুঁথিগত শিক্ষার বাইরে অনেকটা সময় ভার্চুয়াল দুনিয়াকে দেয়। আর সেই কারণেই হয়তো এই শিক্ষা আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ এই ছবি নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। নেটমাধ্যমে এই শিক্ষকের প্রশংসা করা হচ্ছে বিস্তর।