গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান চালিয়ে এসেছেন যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের সদস্যরা। আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে সইদুল্লাহ বলেন, ‘উনি বিচারের কাজেও নিষ্ঠা এবং সততা বজায় রেখেছেন সব সময়েই। আশা রাখব, উনি অন্য যে ক্ষেত্রে আগামী দিনে নিজেকে নিয়ে যাবেন, সেখানেও নিষ্ঠা এবং সততা বজায় রেখেই কাজ করবেন। যদি রাজনীতির ময়দানে যান, তাহলে নিষ্ঠাবান একজন রাজনীতিককে পাবেন সকলে।’ তবে এতে আন্দোলনকারীদের যে মামলাগুলি তাঁর হাতে রয়েছে, সেগুলি ফের দীর্ঘসূত্রতার গহ্বরে চলে যাবে? অনেকেই বলছেন, তাঁর হাত থেকে অধিকাংশ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা ইতিমধ্যে সরে গিয়েছে। নতুন যে বিচারপতি এই মামলাগুলির দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁরা তৎপরতার সঙ্গে এগুলির বিচার করবেন।
পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী মঞ্চের সুশান্ত ঘোষ জানালেন, আপার প্রাইমারি একটি মামলায় নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে সেই মামলা ডিভিশন বেঞ্চে যায়। মাঝেই দুই বিচারপতির সংঘাতের কারণে সেই মামলার শুনানি বিলম্বিত হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের পর আগামী ৬ মার্চ এই মামলার শুনানি আছে। তাঁর কথায়, ‘কালো কোর্ট পড়ে কোনও আইনজীবী বা বিচার ব্যবস্থার অধীনে থাকা ব্যক্তিদের রাজনীতিতে যাওয়া উচিত নয়। তবে বর্তমান যা অবস্থা, তাতে অনেকেই রাজনীতিতে যাচ্ছেন। তবে তিনি বলেন, ‘ বিচারের আশায় আমরা অনেকেই মুখিয়ে রয়েছি। আর কতদিন আমাদের লড়ে যেতে হবে, জানি না।’
আগামীকাল, মঙ্গলবার তিনি শেষবারের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে যাবেন। বিচারপতি জানিয়েছেন, তাঁর হাতে যে সমস্ত মামলা রয়েছে, সোমবার সেগুলি ছেড়ে দেবেন। এরপর আগামী মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠাবেন। তবে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলবেই, বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে যাবেন, জানালেন আনন্দলনকারীরা।