‘…মাথার ওপর কেষ্টা আছে’, বীরভূমে দাঁড়িয়ে অনুব্রতর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সুব্রত বক্সি – tmc leader subrata bakshi praises anubrata mondal at birbhum


বীরভূমের বুকে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। এমনকী কেষ্ট মণ্ডলকে ভালোবাসেন বলেও মন্তব্য করতে শোনা গেল তাঁকে। জনগর্জন সভার প্রস্তুতি উপলক্ষে সিউড়ি রবীন্দ্রসদনে একটি সভার আয়োজন করে জেলা তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলার নেতানেত্রীরা।এদিন সুব্রত বক্সি বলেন, এই জেলায় আসলে প্রথমে মনে পড়ে যাঁর কথা, তিনি আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের সাথী কেষ্ট মণ্ডল। কেষ্ট মণ্ডলকে আপনারা চেনেন, সাংগঠনিক শক্তি অফুরন্ত। তার চেয়েও বড় কথা যাঁরা জেনেছেন চিনেছেন, আমি তাদের থেকে একটু বেশি করে কেষ্টকে চিনি, কারণ ভালোবাসি। আমার এখানে যাঁরা সমবেত হয়েছি, মনে রাখবেন আমাদের মাথার ওপর কেষ্টা আছে।

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিহাড়ে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময় অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে দল। এমনকী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও তাঁর নাম শোনা গিয়েছে। সম্প্রতি বীরভূমে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ‘নানা চক্রান্ত চলছে, বীরভূমেও চলছে, কেষ্টকে কতদিন ধরে জেলে ভরে রেখেছে, তবে মানুষের মন থেকে ওকে দূর করতে পারেনি। আমি তো আসার সময় দেখছিলাম বেশিরভাগ তরুণ প্রজন্ম ওর কথা বলেছে, আমি শিখিয়ে দিইনি, ও কাজ করতে জানে, তাই মানুষের মনে রয়েছে।’ শুধু তাই নয়, তার আগেও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় বলেছিলেন, ‘কেষ্ট মুক্তি পাবে ওকে বীরের সম্মান দিয়ে নিয়ে আসতে হবে।’

গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুদিন পর গ্রেফতার হন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও। সুকন্যা ও অনুব্রত দুজনেই বর্তমানে তিহাড়েই রয়েছেন। বিগত দিনে বিভিন্ন জামিনের আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও বারেবারেই সেই আর্জি খারিজ করেছে আদালত। এদিকে এরই মাঝে জেলার রাজনীতিতেও যথেষ্ট উত্থানপতন দেখা গিয়েছে। অনুব্রত জেলে থাকার সময়ে জেলায় তাঁর ‘বিরোধী’ বলে পরিচিত কাজল শেখের কিছুটা উত্থান দেখা যায়। তাঁকে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতিও করে তৃণমূল। যদিও সম্প্রতি আবার বীরভূমে তৃণমূলের কোর কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে কাজলকে। এমনকী জেলার নেতানেত্রীদের নিয়ে বৈঠকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র মুখে উঠে এসেছে কেষ্টর নাম। সেক্ষেত্রে এদিন সুব্রত বক্সির মুখে কেষ্টর এই প্রশংসা নিঃসন্দেহে অনুব্রতর অনুগামীদের নতুন করে অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *