কমিশনের এই বৈঠকে উঠে আসে শেখ শাহজাহান ও সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। কেন এরকম ঘটনা ঘটল? কমিশনের প্রশ্নের মুখে পড়েন বর্তমান ও প্রাক্তন এসপি। কমিশনের প্রশ্ন শুনে বর্তমান এসপি বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’ কমিশন জানতে চায়, যিনি এসপি ছিলেন তিনি কি এখানে আছেন? বর্তমান ইসলামপুরের এসপি উপস্থিত থাকার কথা জানান। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তিরস্কার করে বলেন, ‘আপনাদের লজ্জা লাগে না। শেখ শাহাজান কে?’ এরকম লোককে ভোটের সময় বরদাস্ত করা হবে না। কমিশন জানায়, দাগী অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। তারা যেন এলাকায় না থাকে।
লোকসভা নির্বাচনে যাতে কোথাও একটিও অশান্তির ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেয় কমিশন। নির্বাচনের দিনগুলিতে যাতে কোনও বোমাবাজি, রক্তক্ষয়ের ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে প্রতিটি জেলার এসপিকে সতর্ক করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের শাসক দল পশ্চিমবঙ্গে এক দফায় ভোট করানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে অন্যান্য বিরোধী দলের তরফে একের অধিক পর্যায়ে ভোটের ব্যাপারেই মত প্রকাশ করা হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গে এবারের লোকসভা নির্বাচনে কয় দফায় ভোট হতে পারে, এ ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি। দিনক্ষণ ঘোষণার সময়ই সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে।
আইন-শৃঙ্খলার পাশাপাশি ভুয়ো ভোটারের বিষয়টিও উঠে আসে এই বৈঠকে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ এসেছে কমিশনের কাছে। লোকসভা নির্বাচনে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া গিয়েছে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনকে। নতুন করে ভুয়ো ভোটারের যেন কোনও অভিযোগ না আসে সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। আধা সেনা দিয়ে নির্বাচনের সুরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালন করার সময় বিজেপির তরফে যেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালিত না করা হয়, সে ব্যাপারে কমিশনকে অভিযোগ করে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। অন্যদিকে, বিরোধীরা সন্দেশখালি ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নালিশ জানায় কমিশনের কাছে। সিপিএমের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কমিশনকে জানিয়ে আসেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাধিক জায়গায় ভোট দিতে না দেওয়ার অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার ব্যাপারে।