প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধাসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই কেন্দ্রে একবার ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়ে যায়। প্রথমবারের ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের নতুন ফলাফল ঘোষণা করা হয় নির্বাচনী আধিকারিকদের তরফে। সেই ফলাফল অনুযায়ী ১৯৫৪ ভোটে জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারী।
মমতা বলেন, ‘জোর করে, গায়ের জোরে, কাউকে খুন করে, কাউকে লুঠ করে, টাকা দিয়ে, নিজে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে…অন্যদের বলছে চোর। চোরের মায়ের গলা।’ এরপরেই বক্তৃতার মাঝে একটি উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাসে পকেটমারি হলে দেখবেন যে আসল পকেটমার সেই আগে পকেটমারি হয়েছে বলে চিৎকার করে। এরপর সব লোক উঠে দাঁড়ালে আসল পকেটমার পালিয়ে যায়।’ নাম না করে মমতা বলেন, ‘সবচেয়ে বড় পকেটমারি কে করেছে স্কুল এডুকেশনে, মেদিনীপুরবাসী ভুলে গিয়েছেন?
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিল ২০২২ সালে ১৭ জুন মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে বিচারপতি কৌশিক চন্দ এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। এই মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও সুপ্রিম কোর্টে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।