অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি যদি কোনও দলে যোগদান করেন এবং তাদের যদি মনে হয় তাঁকে টিকিট দেওয়া যায় সেক্ষেত্রে তিনি ভেবে দেখবেন। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার বেলা আড়াইটা নাগাদ এজলাসে গিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘আমি আমার সমস্ত কাজ শেষ করেছি। শুনানিও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কিন্তু, রায় দেওয়া হয়নি। এই সমস্ত মামলার রায় এখন দেব।’ এদিন এক মহিলা কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘আপনার পায়ে হাত দিয়ে একবার প্রণাম করতে চাই। আমার ছেলে আপনার জন্য চিকিৎসা করতে পেরেছে। আপনি চলে যাবেন শুনে খুবই কষ্ট পেয়েছি। আমার জন্য আপনি যা যা করেছেন তাঁর জন্য কৃতজ্ঞ।’
বিচারপতি এদিন বলেন, ‘আমি পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম নিই না। কলকাতা হাইকোর্টে আমার ২৯ থেকে ৩০ বছর হয়ে গেল। এর থেকে দুঃখের আর কিছু নেই। একদিন না একদিন আমাকে যেতে হতো। আজ না হোক কাল।’ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি কোন দলে যোগদান করতে চলেছেন? তা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, এদিনই তিনি বড় কোনও ঘোষণা করতে পারেন। কারণ, মঙ্গলবারই তিনি সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেবেন বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি কোন দলে যোগদান করবেন, তা নিয়ে নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা।