এ দিন শুনানিতে ইডি-র সওয়াল, তদন্তে স্থগিতাদেশ থাকলে কী ভাবে শাহজাহানকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলো? কেন জেল হেফাজতে পাঠানো হলো না? ইডি-র যুক্তি, ১৫ দিন পরে সিবিআই চাইলেও তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে না। শুধু সময় নষ্ট হবে। শাহজাহানের আইনজীবীও বলেন, ‘যদি তদন্তে স্থগিতাদেশ থাকে তা হলে আমার মক্কেলকে কেন হেফাজতে রাখা হবে?’ আর সিবিআইয়ের দাবি, তারা শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায়। তদন্তও তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।
শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হামলার দিন ন্যাজাট থানায় যে প্রথম এফআইআর হয়েছিল, সেটা ইডি-র আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই। রাজ্য পুলিশের উপরে আস্থা হারানোর এটা একটা বড় কারণ বলে ইডি দাবি করছে।’ এ প্রসঙ্গে ইডি-র বক্তব্য, ‘আমাদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমরা তদন্ত করতে গিয়েছিলাম, না শ্লীলতাহানি করতে গিয়েছিলাম?’
এতে আদালতের বক্তব্য, হাইকোর্ট শুধু জানিয়েছিল গ্রেপ্তারিতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু এখানে তদন্তও শুরু হয়ে গিয়েছে। ইডি-র অভিযোগ, গোটা তদন্ত প্রক্রিয়াকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছে রাজ্য পুলিশ। তারা যৌথ তদন্ত চাইছে না। কারণ তাতে তথ্য বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইডি-র বক্তব্য, রাজ্য পুলিশ অভিযুক্তের সঙ্গে আছে। যদিও রাজ্যের আইনজীবী বলেন, রেশন দুর্নীতিতে ইসিআইআর দায়ের করে তদন্ত করছে ইডি। সেই তদন্তে কখনও হস্তক্ষেপ করেনি রাজ্য পুলিশ। হামলার ঘটনায় যে অভিযোগ হয়েছিল শুধুমাত্র তারই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিল রাজ্য পুলিশ। সেই মামলা কেন সিবিআইকে হস্তান্তর করা হবে?