তবে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন কিনা সেই বিষয়ে দলের তরফে কেউ মন্তব্য করতে চাননি। জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘জনগর্জন সভার প্রচার করার জন্য এসেছেন কীর্তি আজাদ। প্রার্থী হবেন কি না সেটা দল ঠিক করবে।’ দলের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হবে কি না সেটা দল ঠিক করবে। তবে দুর্গাপুরে এসে জনসংযোগ সেরে রাখতে চাইছেন তিনি।
মঙ্গলবার বেলার দিকে স্টিল টাউনশিপে এ-জোন অঞ্চলে একটি ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পে বাচ্চাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবেন তিনি। সৃজনী হলে দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভা করার কথা আছে ঠিকই। তবে কোনও কারণে সেই সভা যদি বাতিল হয় তা হলে দুর্গাপুরের কোনও একটি জায়গায় জনগর্জন সভার সমর্থনে একটি সভা করবেন কীর্তি আজাদ।
তবে এদিন কীর্তি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক। সেটা অনেকদিনের। তিনি আমাকে ভাইফোঁটা দেন। আগামী ১০ মার্চ কলকাতায় বিগ্রেড গ্রাউন্ডে জনগর্জন সভা হবে। সেই সভার সমর্থনে প্রচার করতে আমি দু’দিনের সফরে এসেছি। মোদীর মিথ্যে প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে দুর্গাপুর সমেত অন্যান্য জায়গায় প্রচার করব।’ দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী কি তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে কীর্তি বলেন, ‘১৯৮৩ সালে ভারতীয় বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলাম আমি। দেশের মান-সম্মানের জন্য খেলেছি। দলের নির্দেশে এখানে এসেছি আগামী ১০ মার্চের সভার প্রচারের জন্য।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ। রাজনৈতিক জীবন বিজেপির হাত ধরে শুরু করলেও ২০১৯ সালে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। বিহারের দ্বারভাঙার প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদ বর্তমানে গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস দলের ইনচার্জের দায়িত্বে রয়েছেন।
